Former SIMI Leaders

জঙ্গিযোগের তদন্তে ঠাণেতে সিমির প্রাক্তন নেতাদের বাড়িতে অভিযান! আটক ১২, উদ্ধার সন্দেহভাজন নথি

জঙ্গিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে সোমবার মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে তল্লাশি চালায় এটিএস। সিমির প্রাক্তন নেতা এবং সদস্যদের বাড়িতে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। অভিযানে আটক করা হয়েছে ১২ জনকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৫ ২০:৪৮
Share:

মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে আটক ১২। —ফাইল চিত্র।

জঙ্গিযোগের তদন্তে সোমবার মহারাষ্ট্রের ঠাণে থেকে ১২ জনকে আটক করল সে রাজ্যের পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্ট্‌স ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (সিমি)-র কয়েক জন প্রাক্তন নেতা এবং সদস্যের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই অভিযানের সময়েই ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথিপত্রও।

Advertisement

সোমবার ভোর ৪টে থেকে ঠাণের দু’টি গ্রামে অভিযান শুরু করে মহারাষ্ট্র এটিএসের তদন্তকারী দল। সঙ্গে ছিলেন ঠাণে গ্রামীণ পুলিশ বিভাগের আধিকারিকেরাও। দু’টি গ্রামকেই পুলিশি প্রহরায় মুড়ে ফেলা হয়। তবে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত কোন মামলার তদন্তে এই অভিযান, তা প্রকাশ্যে আসেনি।

সন্দেহজনক নথিপত্রের পাশাপাশি কিছু মোবাইল, তলোয়ার, ছুরি, সম্পত্তির নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে এটিএস। সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত কাজকর্ম এবং তরুণদের মৌলবাদের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত হয়েছে সোমবারের অভিযানে।

Advertisement

কোন তদন্তের জন্য এই অভিযান তা খোলসা না করলেও এটিএস জানিয়েছে, পহেলগাঁও-কাণ্ডের পরে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আগাম পদক্ষেপ করা প্রয়োজন ছিল। বস্তুত, ঠাণের যে এলাকায় এটিএস হানা দিয়েছিল, সেখান থেকে এর আগেও বিভিন্ন জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ফলে পহেলগাঁও-কাণ্ডের পরে এই এলাকার উপর কড়া নজর রাখছিল এটিএস। তদন্তকারীরা ওই বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রাক্তন সিমি নেতা সাকিব নাচান এবং তাঁর সহযোগীরা মিলে সাধারণ মানুষের মগজধোলাই করছেন এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য প্ররোচনা দিচ্ছেন বলে খবর ছিল আধিকারিকদের কাছে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানো হতে পারে, এমন আশঙ্কাও ছিল তদন্তকারীদের।

গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আদালতকে আগাম জানিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালান এটিএস আধিকারিকেরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সিমির প্রাক্তন নেতা এবং তাঁর অনুগামী মিলিয়ে প্রায় ২৪টি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় সোমবার। প্রাক্তন সিমি নেতা সাকিব এবং ওই নিষিদ্ধ সংগঠনের অন্য এক প্রাক্তন সদস্য ফারুক জুবায়ের মুল্লার বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। ফারুক সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। পরিবারের দাবি, তিনি হজে গিয়েছেন। ফারুকের বড়ভাই হাসিব ২০০২ এবং ২০০৩ সালে মুম্বইয়ের ট্রেনে বিস্ফোরণের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। আইসিস মডিউলের অন্য একটি সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মামলায় ২০২৩ সাল থেকে দিল্লির জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement