মাল্টিপ্লেক্সে বাইরে খাবার নিয়ে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। —ফাইল চিত্র।
এ বার মহারাষ্ট্রের মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে বাইরের খাবার নিয়ে ঢোকা যাবে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গেও এই ধরনের সুবিধা দর্শকরা কবে পাবেন?
এত দিন মাল্টিপ্লেক্সে খাবার নিয়ে ঢুকতে হলে সেখানকার ফুড সেন্টার থেকে তা কিনতে হত। বাড়িতে বানানো খাবার বা মাল্টিপ্লেক্সের বাইরের কোনও দোকান থেকে খাবার কিনে সিনেমা হলে ঢোকা যেত না। এই বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। যদি বাইরের খাবার নিয়ে ঢোকার জন্য কোনও দর্শককে আটকানো হয়, মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এর জন্য আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতর নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করবে। ওই নীতিতে সরকারের নির্দেশ পালন না করলে মাল্টিপ্লেক্সের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেবে সরকার, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এ-ও জানানো হয়েছে, মাল্টিপ্লেক্সে বিক্রি হওয়া খাবারের দামও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পিডিপি ভাঙার চেষ্টা হলে ফল ভয়ঙ্কর হবে, বিজেপি’কে হুমকি মেহবুবা মুফতির
মাল্টিপ্লেক্সে খাবার নিয়ে ঢোকা এবং সেখানে খাবারের চড়া দাম নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বম্বে হাইকোর্ট মহারাষ্ট্র সরকারকে বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর মহারাষ্ট্রের খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী রবীন্দ্র চ্যবন শুক্রবার এই ঘোষণা করেন।
এই ঘোষণার পরই তার কৃতিত্ব দাবি করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শরদ পওয়ারের এনসিপি এবং রাজ ঠাকরের মহারাশ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। এনসিপি নেতা ধনঞ্জয় মুন্ডের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই চেষ্টা করে যাচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মানুষের জন্য। এই ঘোষণা তাঁর সেই চেষ্টারই সুফল।
অন্যদিকে, চুপ করে বসে নেই এমএনএসও। কিছুদিন আগেই একটি মাল্টিপ্লেক্সে ম্যানেজারকে মারধর করে এমএনএসের সদস্যেরা। শুক্রবার দলের তরফে দাবি করা হয়, কয়েকমাস আগেই তাঁরা সরব হয়েছিলেন। এটা তাদেরই জয়।