National News

আস্ত একটা জিপ দিয়ে ছাদ বানিয়েছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর সেই ওয়াংড়ু!

আস্ত একটি জিপ হয়ে উঠেছে লাদাখে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথার ছাদ!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:০৫
Share:

সেই মাহিন্দ্রা জিপ। ছবি আনন্দ মাহিন্দ্রার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।

বরফে মোড়া দুর্গম রাস্তা অনায়াসে পেরনোর সাহস দেখানোর পর এখন সে লাগাতার তুষার ঝড় আর বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাচ্ছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। সেখানকার ছাত্র, শিক্ষক, গবেষকদের।

Advertisement

আস্ত একটি জিপ হয়ে উঠেছে লাদাখে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথার ছাদ! চাকা, ইঞ্জিন-সহ একটি মাহিন্দ্রা জিপই এখন বরফে মোড়া লাদাখের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভস’-এর মাথার ছাদ। জিপটি বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মাহিন্দ্রার।

হিমালয়ের কোলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালান একই সঙ্গে প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক ও শিক্ষক সোনম ওয়াংচুক। যিনি আমির খানের সেই বিখ্যাত ফিল্ম ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর অন্যতম প্রধান একটি চরিত্রের অনুপ্রেরণাও।

Advertisement

লাদাখে বরফে মোড়া রাস্তায় বহু দিন চলার পর সেই মাহিন্দ্রা জিপটি যখন কিছুটা ‘বুড়িয়ে’ গিয়েছিল, তখন তাকে ফেলে না দিয়ে, কাজে লাগানো হয়েছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথা বাঁচানোর দায়িত্বে। বোঝানো হয়েছে, কেউই ফেলে দেওয়ার নয়। কেউই পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় না। কাজে লাগানোর ভাবনাটা অন্য ভাবে ভাবা হলে, বহু ‘বাতিল’, ‘পরিত্যক্ত’কেও কাজে লাগানো যায়। এমনকি, তা হতে পারে বৃহত্তর স্বার্থে! বৃহত্তর অর্থেও!

‘বুড়ো’ মাহিন্দ্রা জিপের হাতে তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথা বাঁচানোর ‘জোয়ান’-এর দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন সোনম ওয়াংচুক। তার প্রশংসা করে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই টুইট করেন মাহিন্দ্রা সংস্থার চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। ধন্যবাদ জানিয়ে তার জবাব দিতেও দেরি করেননি ওয়াংচুক। টুইটারে মাহিন্দ্রা আর ওয়াংচুকের সেই ‘বাক্যালাপ’ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আনন্দ মাহিন্দ্রা তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘এক বন্ধুর পাঠানো ছবি দেখেই জানিতে পারি, লাদাখে সোনম ওয়াংচুক তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাদ বানিয়েছেন মাহিন্দ্রা জিপ দিয়ে। কেউই যে পরিত্যক্ত হয়ে যেতে পারে না, বোঝালেন তিনি।’’

এর পরেই মাহিন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর টুইটে ওয়াংচুক লেখেন, ‘‘আপনাকে জানাই, এই জিপটিই ছিল লাদাখের প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষা-সচেতনতা বাড়ানোর অভিযানের জন্য এই জিপটিই ছিল আমাদের ‘অন্ধের যষ্ঠি’। এতে চড়েই আমরা যেতাম প্রচারে। তার ফলে, লাদাখে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় সাফল্যের হার যেখানে ছিল মাত্র ৫ শতাংশ, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশে।’’

আরও পড়ুন- ম্যাগসেসে পেলেন রিয়েল লাইফের র‌্যাঞ্চো​

আরও পড়ুন- সেলাম ‘র‌্যাঞ্চো’, এ ভাবেও বড় হওয়া যায়​

ওয়াংচুক এও জানান, মাহিন্দ্রা জিপটি ‘প্রচারক’-এর ভূমিকা পালন করেছিল ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। টানা ১০ বছর।

মাহিন্দ্রাও তাঁর জবাব দিতে গিয়ে লাদাখে ওয়াংচুকের শিক্ষা বিস্তারের প্রয়াসে সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যা নেটিজেনদেরও ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন