ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হানা সম্পর্কে কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।
নানা ভাবে বারে বারেই তাঁকে আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধতে গিয়ে এ বার তিনি বললেন, ‘‘উনি প্রধানমন্ত্রী পদের লজ্জা।’’ পুলওয়ামা-কাণ্ড এবং তার জেরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হানা সম্পর্কে কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। যার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা অনেকেই তাঁর ‘দেশপ্রেম’ নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানাচ্ছেন।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার মমতা আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘‘দেশের মানুষ প্রকৃত সত্য এবং তথ্য জানতে পারছে না। এটা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে উপযুক্ত নয়। এক জন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার কথা বলার অধিকার আছে। এর জন্য যা ইচ্ছা শাস্তি দিতে পারে, আমার কিছু আসে-যায় না।’’ একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ‘‘আমরা দেশের বাহিনী, মানুষ এবং শান্তির পক্ষে। আর দাঙ্গা, মোদীবাবু এবং বিজেপির বিরুদ্ধে।’’
সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তিনি আবার প্রশ্ন তোলেন, কেন পুলওয়ামায় এমন ঘটনা ঘটল? আগে থেকে গোয়েন্দা-তথ্য থাকা সত্ত্বেও এত জন জওয়ান কেন মারা গেলেন? কেন এত জওয়ানের রক্ত নিয়ে রাজনীতি করা হবে? কেন মানুষগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা হল না? কে দায়ী? জওয়ানদের রক্ত দিয়ে কেউ ভোটে জিতবে— এটা হতে দেওয়া যাবে না।
মমতার কথায়, ‘‘বিজেপি দলটাও যেন মোদী-অমিত শাহের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে গিয়েছে! দলটার পুরোটাই মূল্যহীন হয়ে গিয়েছে। যে ওঁদের বিরুদ্ধ সমালোচনা করছে, তাকেই পাকিস্তানি ও দেশদ্রোহী বলে দেওয়া হচ্ছে। আমার বাবাও স্বাধীনতা আন্দোলন করে এসেছেন। যারা গাঁধীজিকে খুন করেছে, তাদের থেকে দেশপ্রেমের শিক্ষা নেবো না।’’
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকে পৈতৃক সম্পত্তির মতো করে চালান। তাই বিজেপির মতো গণতান্ত্রিক দল সম্পর্কে তাঁর এমন ভুল ধারণা হয়েছে। ‘‘মমতা বুঝে গিয়েছেন, হার অবশ্যম্ভাবী। মোদী-শাহের ভয়ে ভীত হয়েই অসংলগ্ন কথা বলছেন উনি,’’ বলেন রাহুল।