নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি-র জেরে অসমে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২৭
Share:

বিজেপি শাসিত প্রতিবেশী রাজ্য অসমে এনআরসি চালু নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি:পিটিআই

অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি-র জেরে অসমে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Advertisement

দু’দিনের সরকারি সফরে সোমবার অসম সীমানা লাগোয়া কোচবিহারে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে একটি প্রশাসনিক বৈঠকেও যোগ দেন। ওই বৈঠকেই বিজেপি শাসিত প্রতিবেশী রাজ্য অসমে এনআরসি চালু নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার কাছে অসম-বাংলার কোন প্রভেদ নেই। আমি অসমিয়াদেরও ভালবাসি, বাঙালিদেরও ভালবাসি।” ওই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগের সুরে বলেন, “এনআরসির নামে প্রতিদিন অসমে কেউ না কেউ আত্মহত্যা করছে। দেখেছেন আপনারা? আপনাদেরই তো প্রতিবেশী। কষ্ট হয় না?”

ওই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘‘একটা মানুষ যখন দেখে স্ত্রী, ছেলেমেয়ের নাম আছে। তার নাম নেই। সে নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।’’ তার পরেই এনআরসিকে সামনে রেখেই দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের ‘ভাল’ থাকার ব্যাখা দেন। রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের ধারণা, অসমে কর্মসূত্রে বাঙালিদের অনেকেই বসবাস করেন। কোচবিহারের পাশাপাশি উত্তরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের আত্মীয়রাও অসমে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্য তাঁদেরই মন জয়ের চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব ওই বক্তব্য মানতে রাজি নন। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘এনআরসি নিয়ে প্রথম দিন থেকে প্রতিবাদ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ওই বক্তব্যের ভিত্তি নেই।’’

Advertisement

এ দিনের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রকৃত ভোটারদের জন্য বলছি।” এ দিন ওই সভাতেই বিজেপি ও তৃণমূলের দখলে থাকা দুই রাজ্যের ফারাক বোঝাতে বলেন, ‘‘আমাদের পাশের রাজ্যে কী চলছে বুঝতে হবে।’’ বাংলার বাসিন্দারা অনেক ভাল আছেন। সুখে আছেন, শান্তিতে আছেন বলেও দাবি করেন মমতা। বাংলার বাসিন্দাদের অনেক ভাল থাকায় অনেকে সহ্য করতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি রাভা অবশ্য বলেন, “ওই বক্তব্যের ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক লাভ তুলতেই ওই বক্তব্য রেখেছেন সেটাও সবাই জানেন। বাসিন্দাদের বিভ্রান্ত করতে উস্কানি দিয়ে কোনও লাভ হবে না। এ রাজ্যে আমরা এনআরসি চাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন