জোট নিয়ে কথা সনিয়া-মমতার

দেখা হল না দু’জনের। তবে সনিয়া গাঁধী টেলিফোন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হওয়া নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে জানিয়েছেন, বিরোধী জোট হলে কংগ্রেসকে প্রয়োজন। রাহুলকে পাশে নিয়েই এগোতে চান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:১০
Share:

দেখা হল না দু’জনের। তবে সনিয়া গাঁধী টেলিফোন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হওয়া নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে জানিয়েছেন, বিরোধী জোট হলে কংগ্রেসকে প্রয়োজন। রাহুলকে পাশে নিয়েই এগোতে চান তিনি।

Advertisement

সনিয়ার সঙ্গে কথার আগেই সংসদ ভবনে গত কাল গুলাম নবি আজাদ, অহমেদ পটেলের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। তখনই এ বিষয়ে এক প্রস্ত আলোচনা হয়। মমতার সঙ্গে দেখা করতে লখনউ থেকে দিল্লি এসেছিলেন অখিলেশ যাদবও। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলার বিষয়ে অখিলেশের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। দু’জনেই এ বিষয়ে একমত। মমতা মনে করছেন, কংগ্রেসকে বাইরে রেখে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্টের পরীক্ষা-নিরীক্ষা অতীতে হয়েছে। কিন্তু তার কোনওটাই সফল হয়নি। তা ছাড়া, এ বছর গুজরাত, হিমাচলে ভোট। পরের বছর ভোট মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানের মতো রাজ্যে। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে কংগ্রেসকেই।

আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁর প্লেটেও কি মোদীর রেশন!

Advertisement

উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে হারলেও অখিলেশ ২০১৯-এও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চান। সমাজবাদী পার্টিতে মুলায়ম সিংহ যাদব তাতে একমত হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু অখিলেশ মমতাকে জানিয়েছেন, দলের রাশ তাঁর হাতেই থাকবে। সেপ্টেম্বরেও ফের তিনিই জাতীয় সভাপতির পদে বসবেন। সংসদ ভবনে বিএসপি নেতা সতীশ মিশ্রর সঙ্গেও বিরোধী জোটের বিষয়ে কথা বলেছেন মমতা। নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। পশ্চিমবঙ্গের মতো ওড়িশাতেও চিট ফান্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। মমতা নবীনকে বলেছেন, এ সব নিয়ে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিজু জনতা দলের নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন, ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপি তাঁদের দল ভাঙতে চাইছে। নবীন অবশ্য মমতাকে জানিয়েছেন, বিজেপি তাঁর দলে ভাঙন ধরাতে চাইছিল ঠিকই। কিন্তু তিনি তা সামলে নিয়েছেন।

দিল্লি সফরে এ বার সনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সনিয়া সময় দিতে পারেননি। সোমবার মমতা সংসদ ভবনে গেলেও কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। কারণ সনিয়া তখন লোকসভাতে বসেছিলেন। টেলিফোনে সনিয়াকে মমতা জানান, পরের বার দিল্লি এসে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement