Uttar Pradesh

ফের উত্তরপ্রদেশ, পুলিশের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে খুনে অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারল জনতা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার বন্দুক নিয়ে সোমবার স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষককে ওই যুবক গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৪৯
Share:

উন্মত্ত জনতার মারে নিস্তেজ। ছবি: টুইটারের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া

জমি বিবাদে রবিবার দিনেদুপুরে প্রাক্তন বিধায়ককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। লখীমপুর খেরি এলাকার সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। এ বার কুশিনগরে খুনে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের সামনেই পিটিয়ে খুন করল উন্মত্ত জনতা। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানোয় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার বন্দুক নিয়ে সোমবার স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষককে ওই যুবক গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ি গোরক্ষপুরে বলে জানতে পারলেও বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি। অন্য দিকে ওই শিক্ষককে গুলি করার পর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই বাড়ির ছাদে উঠে পড়েন ওই যুবক। গ্রামবাসীরা বাড়ি ঘিরে ফেললে ছাদ থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন ওই যুবক। গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসা পর্যন্ত ওই বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন গ্রামবাসীরা।

এর পর পুলিশ পৌঁছতেই ছাদ থেকে ওই যুবক হাত তুলে আত্মসমর্পণের সঙ্কেত দেয়। পুলিশকর্মীরা ছাদে উঠে তাঁকে নীচে নামিয়ে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষেপে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের জিম্মায় থাকা অবস্থাতেই অভিযুক্ত যুবককে মারধর শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ কোনও রকমে তাঁকে ভ্যানে তোলে। কিন্তু সেই ভ্যান থেকেও তাঁকে নামিয়ে নিয়ে বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন উন্মত্ত জনতা। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি উত্তেজিত জনতা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘শিক্ষানীতিতে অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ নয়’, ঘোষণা মোদীর

আরও পড়ুন: দিনেদুপুরে প্রাক্তন বিধায়ককে পিটিয়ে খুন, ফের প্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্যের পুলিশ

ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে নিস্তেজ হওয়ার পরেও বাঁশ দিয়ে ওই যুবককে পেটাচ্ছেন অন্য এক জন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মাথা। পাশাপাশি এলাকায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছেন। প্রচুর পুলিশকর্মী থাকলেও তাঁরা কার্যত অসহায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন