কাকিমা ও ভাইপোকে মারধর করে বিয়ে করতে বাধ্য করলেন গ্রামবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রীর সঙ্গে ভাইপোর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহে যুবককে বাড়িতে ডেকে গ্রামবাসীদের নিয়ে বেধড়ক মারধর করলেন কাকা। তার পর জোর করে স্ত্রীর সঙ্গে ভাইপোর বিয়ে দিলেন তিনি। সেই কাজে সাহায্য করলেন গ্রামবাসীরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সুপল জেলার জীবচ্ছাপুরে। দিন সাতেক আগের ওই ঘটনা সামনে আসার পর বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নীতীশ কুমারের পুলিশ।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবককে রাস্তার উপরে বেধড়ক পেটাচ্ছেন কয়েক জন। তার পর ওই রাস্তাতেই মারতে মারতে আনা হয় এক মহিলাকে। যুগলকে মারধরের পর সিঁদুর আনেন এক জন। যুবককে বাধ্য করা হয় ওই সিঁদুর মহিলার সিঁথিতে পরানোর জন্য। এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরে শোরগোল শুরু হয়। জানা যায় ঘটনাস্থল এবং কোন প্রেক্ষিতে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ২ জুলাই বিহারের যুবক মিথিলেশকুমার মুখিয়ার সঙ্গে রিতা দেবী নামে এক মহিলার জোর করে বিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রিতার স্বামী শিবচন্দ্র মুখিয়া। বস্তুত, শিবচন্দ্রই লোকজনকে জড়ো করে স্ত্রী এবং ভাইপোকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। তার পর স্ত্রীর সঙ্গে ভাইপোর বিয়ে দিয়েছেন জোর করে। মিথিলেশের বাবা রামচন্দ্র মুখিয়ার অভিযোগ, তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করেছেন ভাই এবং গ্রামবাসীরা। ভীমপুর থানার পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন, গত ২ জুলাই তাঁর ছেলেকে ‘অপহরণ’ করেন ভাই শিবচন্দ্র। মিথিলেশকে বেধড়ক মারধর করা হয়। লোহার রড থেকে লাঠি নিয়ে প্রহার করা হয়। শিবচন্দ্রের দাদার দাবি, পুরো ঘটনাটি সন্দেহের বশে ঘটিয়েছেন তাঁর ভাই। কারণ, শিবচন্দ্রের সন্দেহ, স্ত্রীর সঙ্গে ভাইপোর পরকীয়া রয়েছে। এই দাবি করে গ্রামবাসীদের কয়েক জনকে উত্ত্যক্ত করেন শিবচন্দ্র। তার পর স্ত্রীর সঙ্গে ভাইপোর বিয়ে দেন!
মিথিলেশের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনিও চোট পেয়েছেন। ভাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও কারও আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর নেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মিথিলেশের কাকা শিবচন্দ্র এবং কাকিমা রিতার চার বছরের একটি সন্তান রয়েছে।