—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অন্য বর্ণের ছেলেকে বিয়ে করায় সহোদরাকে গুলি করে খুন করলেন দাদা। পরের দিন নিজে ধরা দিলেন পুলিশের কাছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের মোগা জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার মোগায় গুরুদ্বারের সামনে মেলায় একটি খুনের ঘটনা ঘটে। সেই মামলায় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন খুনি।
ধৃতের নাম হরমনপ্রীত সিংহ। গত বৃহস্পতিবার ওই যুবক থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, আগের দিন (বুধবার) নিজের বোনকে গুলি করে মেরেছেন তিনি। তাঁর স্বীকারোক্তি শোনার পরে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় যুবক জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে তাঁর বোন সিমরন কৌর পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন। যে যুবককে বোন ভালবেসে বিয়ে করেছেন, তিনি একই ধর্মাবলম্বী হলেও অন্য বর্ণের। সেই রাগেই বোনকে গুলি করে মেরেছেন তিনি। পুলিশের এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘ধৃত হরমনপ্রীতরা অরোরা শিখ সম্প্রদায়ের। তাঁর বোন সিমরন যে যুবককে বিয়ে করেছেন তিনিও শিখ। তবে রাই শিখ। তাই এই বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়েটির পরিবার। তার পরেই এই খুনের ঘটনা। গুরুদ্বারের সামনে মেলায় বোনকে গুলি করে খুন করেন দাদা।’’
মৃতার ননদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। ওই মহিলা বৌদির খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দু’জন গুরুদ্বারে গিয়েছিলাম। মেলা বসেছিল ওখানে। হঠাৎ ওই মেলার মধ্যে আমরা হরমনপ্রীতকে দেখতে পাই। আমাদের দেখেই ও পিস্তল বার করে এগিয়ে আসে। কিছু বোঝার আগে সিমরনের মাথায় গুলি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’’ ওই মহিলা জানান, দু’বছর আগে তাঁর ভাই ইন্দরজিৎ সিংহ ওরফে লভার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সিমরনের। পরস্পরকে ভালবাসতেন তাঁরা। তাঁদের বাড়ি থেকে এই বিয়ে মেনে নিলেও সিমরনের বাপের বাড়ি মানেনি। অনেক বার এ নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। সিমরনকে রাস্তায় দেখলেই অপমান করতেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ১০৩ ধারা (খুন) এবং অস্ত্র আইনের ২৫, ২৭, ৫৪ এবং ৫৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।