CJI BR Gavai

প্রধান বিচারপতিকে ‘জুতো’ ছুড়ে মারার চেষ্টা সুপ্রিম কোর্টে! হামলাকারী আইনজীবীর মুখে ‘সনাতন ধর্ম’ নিয়ে স্লোগান

সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এজলাসে বসে এ দিনের তালিকায় থাকা মামলাগুলি শুনছিল। সেই সময়েই আইনজীবীর পোশাক পরা ওই ব্যক্তি হঠাৎ সামনের দিকে এগিয়ে আসেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০৩
Share:

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই। —ফাইল চিত্র।

দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের দিকে আচমকাই ‘জুতো’ ছুড়ে মারার চেষ্টা করলেন এক আইনজীবী। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। হকচকিয়ে যান এজলাসে উপস্থিত সকলেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা বিভাগ এই ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করেছে।

Advertisement

আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে, প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলছেন, প্রধান বিচারপতির দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। আবার কেউ বলছেন, একটি কাগজের বান্ডিল ছুড়ে মারার চেষ্টা হয়েছে। ফলে আইনজীবীর মতো পোশাক পরিহিত ওই ব্যক্তি আসলে কী ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন, তা নিয়ে দু’ধরনের বক্তব্য উঠে আসছে এজলাসে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়।

সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এজলাসে বসে তালিকায় থাকা মামলাগুলি শুনছিল। সেই সময়েই আইনজীবীর পোশাক পরা ওই ব্যক্তি হঠাৎ সামনের দিকে এগিয়ে আসেন এবং প্রধান বিচারপতির দিকে ওই বস্তুটি ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। তবে এজলাসে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন। ওই ব্যক্তিকে ধরে এজলাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, তাঁকে যখন বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন চিৎকার করে স্লোগান দিচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি বলছিলেন, “সনাতন ধর্মের অপমান সহ্য করব না।”

Advertisement

যদিও এত কিছুর পরেও শান্ত এবং স্থির থাকেন প্রধান বিচারপতি। আইনজীবীর পোশাক পরা ওই ব্যক্তির এমন কাণ্ডের জেরে কয়েক মিনিটের জন্য বিঘ্নিত হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসের কার্যক্রম। তার পরে আবার স্বাভাবিক ভাবেই এজলাস চলতে থাকে। নিরাপত্তাকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরে অন্য আইনজীবীদের নিজেদের সওয়াল চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন প্রধান বিচারপতি। এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই সব দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। আমরা বিভ্রান্ত নই। এ সব ঘটনা আমার উপর প্রভাব ফেলতে পারে না।”

পরে জানা যায়, ওই আইনজীবীর নাম রাকেশ কিশোর। সোমবার সকালের ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর ওকালতির লাইসেন্স নিলম্বিত করে দেয় বার কাউন্সিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement