এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তিন বছরের শিশুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল রাজস্থানে। পরিবারের পরিচিত এক ব্যক্তির দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি ভিডিয়োতে আসক্ত ছিলেন। ঘটনার দিনও অন্তত ১৫টি ভিডিয়ো দেখেছিলেন। তার পর শিশুকে বাড়ি থেকে বার করে পাশের মাঠে নিয়ে যান। যৌন হেনস্থার পর শিশুকে মাঠে ফেলে রেখেই পালিয়ে গিয়েছিলেন।
নির্যাতিত শিশু দলিত সম্প্রদায়ের। দেহে ক্ষত নিয়ে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা সঙ্কটজনক। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
রাজস্থানের জোধপুরের ঘটনা। শিশুর কান্না শুনে পরিবারের লোকজন বাড়ির পাশের মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করে। বেশ কিছু ক্ষণ মাঠেই পড়েছিল একরত্তি। গ্রামের অন্যদের সাহায্য নিয়ে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার সঙ্গে কী ঘটেছে, প্রথমে বুঝতে পারেনি পরিবার। চিকিৎসকেরা শিশুর দেহে ক্ষত দেখে যৌন হেনস্থার কথা আন্দাজ করেন। তার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য ওই শিশুকে জোধপুর শহরে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর অভিযুক্ত জোধপুর থেকে ভরতপুরের দিকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পালি জেলা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের বক্তব্য, অভিযুক্ত পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। তাঁর উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
গোটা ঘটনায় জোধপুরে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন গ্রামবাসীদের অনেকে। রাজনীতির পারদও চড়ছে। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত-সহ বিরোধী নেতারা বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেছেন। দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বাড়ছে শিশু-মহিলাদের উপর, বিশেষত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রবণতা। রাজস্থান বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।