woman

Bizarre: অর্ধনগ্ন হয়ে ঘরে থাকেন কেন? উঁকি মেরে ক্ষতি হচ্ছে মেয়ের

মহিলাকে সঠিক পোশাক পরার নিদান দেওয়ার পরই পড়শিকে তাঁর প্রশ্ন, নিজের বাড়িতে কী পোশাক পরব, কখন পরব তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে কি!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ১০:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রায় প্রতি দিন নিজের বাড়িতে খুবই সামান্য পোশাক পরে ঘুরে বেড়ান মহিলা। কিন্তু তাঁর এই গতিবিধি যে দূর থেকে কেউ এক জন নজর রাখছে বা রাখতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারেননি। এক দিন সকালে হঠাৎই মহিলার বাড়িতে এসে এক জন কলিং বেল বাজান। দরজা খুলতেই মহিলা দেখেন তাঁর প্রতিবেশী সামনে দাঁড়িয়ে।

কী প্রয়োজন— সবে জিজ্ঞাসা করতে যাবেন মহিলা, তার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তোলেন প্রতিবেশী। অভিযোগটা কী? মহিলাকে প্রতিবেশী বলেন, ‘‘বাড়িতে ঠিক মতো পোশাক পরুন। অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াবেন না। এতে আমার মেয়ের ক্ষতি হচ্ছে!’’

Advertisement

মহিলা জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘এর মানে কী? কী বলতে চাইছেন স্পষ্ট করে বলুন।’’ তখন ওই পড়শি জানান, মহিলা যে স্বল্প পোশাক এবং প্রায় অর্ধনগ্ন হয়ে বাড়িতে ঘোরাফেরা করেন দূরবীন দিয়ে সেটা দেখতে পেয়েছে তাঁর মেয়ে। তাই ওই পোশাক পরা বন্ধ করতে হবে। ঠিক মতো পোশাক পরতে হবে। এ কথা শুনে বেজায় চটে যান মহিলা।

তাঁর প্রশ্ন, নিজের বাড়িতে কী পোশাক পরব, কখন পরব তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে কি! রেডিট-এ তিনি লেখেন, ‘সম্প্রতি মধুচন্দ্রিমা সেরে ফিরেছি। ঘুম থেকে উঠে বিকিনি পরে ঘরের মধ্যেই হাঁটাচলা করি। কফি এবং প্রাতরাশ বানাই। সম্প্রতী জানতে পেরেছি পাশের বাড়ি থেকে ছোট্ট একটি মেয়ে দূরবীন দিয়ে আমার গতিবিধির উপর নজর রাখছে। এটা কী করে সম্ভব? আমার বাড়ির প্রতিটি জানলায় পর্দা টাঙানো।’ এর পরই মহিলা সন্দেহ প্রকাশ করেন, দূরবীন দিয়ে কোনও ভাবেই দেখা সম্ভব নয়। জানলার কাছে এসে পর্দা ফাঁক দিয়েই তাঁর উপর নজর রাখা হয়েছিল।

Advertisement

কিন্তু পড়শির দাবি, মহিলা যে ধরনের পোশাক পরছেন তা দেখে তাঁর মেয়ের নাকি ক্ষতি হচ্ছে। যদি ওই পোশাক পরা বন্ধ না করেন তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন। মহিলা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘আমি আমার ঘরে যা খুশি পোশাক পরতে পারি। আপনার মেয়ে কেন উঁকি মারে। এটা তো ওর কাজ নয়!’’ তাতে পড়শি ভদ্রলোক সাফাই দেন, ‘‘ও বাচ্চা মেয়ে। কৌতূহলবশত করে ফেলেছে। ক্ষতি করার জন্য তো এমন কাজ করেনি।’’ এই কথা শুনতেই পড়শিকে তাঁর বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন মহিলা।

বিষয়টি তাঁর স্বামীকে জানানোর পর তিনিও ওই পড়শির বক্তব্যকেই সমর্থন করেন। তাতে আরও অবাক হয়ে যান মহিলা। এর পরই নেটমাধ্যমে নিজের সমস্যা তুলে ধরে জানতে চান, তিনি ঠিক নাকি তাঁর পড়শি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন