নিহত কাবুল মিঞা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বাছুর চুরির অভিযোগে বিহারে ৫৫ বছরের এক প্রৌঢ়কে পিটিয়ে মারল স্থানীয় বাসিন্দারা। মোবাইলে সেই হত্যার ভিডিয়োও তুলে রাখল তারা, সম্প্রতি যা সামনে এসেছে। তাতে হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজনের মুখ দেখা গেলেও, এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পটনা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে আরারিয়া জেলার সিমলবনি গ্রামের ঘটনা। গত ২৯ ডিসেম্বর কাবুল মিঞা নামের ওই প্রৌঢ়ের উপর চড়াও হয় প্রায় ৩০০ জনের একটি দল। বাছুর চুরির অভিযোগে তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করতে শুরু করে তারা। এলোপাথাড়ি লাথি মারা হয় তাঁর মুখে। পেটানো হয় লাঠি দিয়েও। এমনকি জামা-কাপড় খুলিয়ে পুরুষাঙ্গেও আঘাত করা হয়।
রক্ষা পেতে হাতজোড় করে তাদের কাছে প্রাণভিক্ষা চান প্রাক্তন গ্রাম প্রধান কাবুল মিঞা। কাকুতি মিনতি শুরু করেন। কাতর স্বরে জানান, খামোখা বাছুর চুরি করতে যাবেন কেন তিনি? কিন্তু তাঁর আর্তি কানে তোলেনি হামলাকারীরা। বরং নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি শুরু করে তারা। একে অপরকে উত্সাহও দিতে থাকে। কয়েক জন আবার মারধরের ভিডিয়ো রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুন: ‘জরুরি অবস্থার একনায়কের নাতি’! খোঁচা জেটলির, রাহুলের নিশানায় মোদীই
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কাবুল মিঞার। তাঁর নিথর দেহ ফেলে রেখে চম্পট দেয় হামলাকারীরা। তাদের মোবাইলে তোলা ভিডিয়ো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দু’দিন পর খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। এর আগেও একবার কাবুল মিঞার বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
আরারিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কেপি সিংহ জানান, ‘‘হামলাকারীরা নিহতের পরিচিত। একই সম্প্রদায়ের মানুষ সবাই। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।’’
আরও পড়ুন: ৯/১১ হামলা সংক্রান্ত গোপন নথি চুরি! মোটা টাকা দাবি হ্যাকারদের
অন্য দিকে, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে মঙ্গলবার খুন হন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা ইন্দল পাসোয়ান। যার পর নালন্দা জুড়ে তাণ্ডব শুরু করে তাঁর সমর্থকরা। এমনকি বাড়ি বাড়ি হানা দিতে শুরু করে তারা। দুই সন্দেহভাজনের গায়ে আগুন ধরিয়ে মেরে ফেলা হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাদের বাড়ি। এমনকি রক্ষা পায়নি ১৩ বছরের এক কিশোরও। পিটিয়ে তাকে আধমরা করে ফেলে যায় হামলাকারীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তার। গোটা ঘটনায় নীতীশ কুমারের সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধীরা। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং বিহারকে ‘গণহত্যার বিহার’ বাননোর জন্য সরাসরি তাঁকে দায়ী করেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।