(বাঁ দিকে) ধৃত পবন ঠাকুর। উদ্ধার হওয়া মাদক (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর দিল্লিতে কোটি কোটি টাকার মাদক উদ্ধারের নেপথ্যে ‘মূল মাথা’কে মঙ্গলবার দুবাই থেকে গ্রেফতার করল সে দেশের পুলিশ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম পবন ঠাকুর। শীঘ্রই তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে দিল্লিতে প্রায় ৮২ কেজি উচ্চমানের কোকেন উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা! প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন পবন। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীদের হাত ধরে ওই কোকেন প্রথমে জলপথে ভারতে ঢোকে। তার পর মালবাহী ট্রাকে করে তা দিল্লিতে পাঠানো হয়। সেই মাদক রাজধানীর একটি গুদামে সংরক্ষণ করেও রাখা হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহেই দিল্লিতে উদ্ধার হয়েছে ২৬২ কোটি টাকার মাদক। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই মাদক উদ্ধার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩২৯ কেজি মেথামফেটামিন, যা মেথ নামেই বেশি পরিচিত। মাদকবিরোধী ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ক্রিস্টাল ফোর্ট্রেস’। গ্রেফতার হয়েছেন দু’জন। তাঁদের সূত্র ধরেই পবনের নাম উঠে এসেছে বলে তদন্তকারী সূত্রে জানানো হয়েছে।
ধৃত পবন দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক হাওয়ালা চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। পরে তিনি মাদক পাচারের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন। মাদক ব্যবসা থেকে পাওয়া কালো টাকা ওই হাওয়ালা চক্র মারফত ভারত, চিন, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-সহ একাধিক দেশে পাঠানো হত। ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের বিষয়টিও উঠে এসেছে তদন্তে।
গত সেপ্টেম্বরেই পবনের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক ‘সিলভার নোটিস’ জারি করেছিল এনসিবি। সমন জারি করেছিল ইডি-ও, কিন্তু পবন হাজিরা দেননি। গত বছর পরিবার-সহ দুবাইতে পালিয়ে যান পবন। সেখান থেকেই চোরাচালান এবং অর্থ পাচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সম্প্রতি দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে। সেই আবহেই এ বার ধরা পড়লেন পবন।