Bihar News

বিয়ের দু’মাস পার, স্ত্রীকে ছাড়ছেই না শ্বশুরবাড়ি! হতাশায় নিজেকে শেষ করলেন যুবক

বিয়ের পরেও স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেননি যুবক। অভিযোগ, স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজন মেয়েকে বিদায় দিতে চাননি। হতাশায় ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

পটনা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ১৯:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে কালঘাম ছুটল যুবকের। সংসার পাতা দূর, স্ত্রীকে নিজের বাড়িতেও নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক।

Advertisement

ঘটনাটি বিহারের আরা জেলার। মৃতের নাম কৃষ্ণকুমার গুপ্ত। অভিযোগ, বিয়ের পরেও স্ত্রীকে তাঁর কাছে যেতে দেননি স্ত্রীর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা ‘শুভ দিনের জন্য’ অপেক্ষা করছিলেন। স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু বার বার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মৃত যুবক মহারাষ্ট্রের ধানগাওঁয়ের বাসিন্দা। তিনি কাজের সূত্রে মুম্বইতে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৪ এপ্রিল বিহারের একবারী গ্রামের রিমা কুমারীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। বিয়ের সময়েই তাঁকে কনের বাপের বাড়ির লোকজন জানিয়ে দিয়েছিলেন, পঞ্জিকা দেখে শুভ দিনে তাঁরা মেয়েকে বিদায় দেবেন। তার আগে নয়।

Advertisement

কনের পরিবারের কথা শুনে যুবক এবং তাঁর বাড়ির লোকজন মুম্বইতে ফিরে গিয়েছিলেন। প্রায় দু’মাস পর স্ত্রীকে নিতে বিহারে ফেরেন যুবক। কিন্তু অভিযোগ, এ বারও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় খালি হাতে। তরুণীর পরিবার জানায়, এখনও মেয়েকে বিদায় দেওয়ার সময় আসেনি।

বিয়ের পরেও স্ত্রীর সঙ্গে ঘর করতে না পারায় হতাশ হন ওই যুবক। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, যুবক প্রায় ১০ দিন ধরে স্ত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করেছিলেন। তাঁর পরিবারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন স্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে যেতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা কিছুতেই রাজি হননি। অবসাদগ্রস্ত যুবক তাই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করেছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন