Rajasthan Gangstar Murder

মেয়েকে নিয়ে কোচিংয়ে যাচ্ছিলেন, গ্যাংস্টারের উদ্দেশে ছোড়া গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় পথচারী

গ্যাংস্টার রাজু ঠেঠকে পিপরালি রোডে তাঁর বাড়ির দুয়ারে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে রাজুর শরীর। সে সময় এই গুলির তাণ্ডবে প্রাণ গিয়েছে এক পথচারীরও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:০০
Share:

রাজস্থানের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রাজু ঠেঠকে পিপরালি রোডে তাঁর বাড়ির দুয়ারে গুলি করে খুন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

মেয়েকে কোচিংয়ে ভর্তি করানোর জন্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গেল তাঁর শরীর। পথেই মৃত্যু।

Advertisement

রাজস্থানের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রাজু ঠেঠকে পিপরালি রোডে তাঁর বাড়ির দুয়ারে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে রাজুর শরীর। সে সময় এই গুলির তাণ্ডবে প্রাণ গিয়েছে এক পথচারীরও। তিনি তারাচাঁদ কাদওয়াসারা। তাঁর সঙ্গে এক আত্মীয়ও ছিলেন। তারাচাঁদের মেয়েকে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানোর ব্যাপারে কথাবার্তা বলতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজুর বাড়ির সামনে আসেন ৪ দুষ্কৃতী। বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে রাজুকে উদ্দেশ করে গুলি ছোড়া হয়। এলোপাথাড়ি গুলিতে লুটিয়ে পড়েন রাজু। গুলির মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় তারাচাঁদেরও। তাঁর আত্মীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

রাজুকে যেখানে গুলি করা হয়, ওই এলাকায় একাধিক কোচিং সেন্টার এবং হস্টেল রয়েছে। এমনকি নিহত রাজুর ভাইও একটি হস্টেল চালান। গ্যাংস্টারকে খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্য। ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে রোহিত গোদারা নামের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনিই রাজুকে খুন করেছেন।

রাজুর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের মামলা ছিল। জামিনে জেলের বাইরে ছিলেন তিনি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন রাজুর অনুগামীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভয়ঙ্কর অপরাধী আনন্দপাল সিংহের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এই রাজু। ২০১৭ সালের জুনে পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিলেন আনন্দপাল। রাজুকে খুনের দায় স্বীকার করা রোহিত জানান, আনন্দপাল এবং বলবীর বানুদার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই রাজুকে খুন। আনন্দপালের গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন বলবীর। ২০১৪ সালে বিকানের জেলে গোষ্ঠীসংঘর্ষের কারণে খুন হয়েছিলেন তিনি। দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে প্রাণ গেল এক নিরীহ ব্যক্তির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন