Crime

বছর দুয়েক ধরে বিনা পয়সায় হোটেলবাস, ৫৮ লক্ষের বিল বাকি রেখেই ‘গায়েব’, অভিযুক্ত বাঙালি

দিল্লির এক হোটেলে ৬০৩ দিন ধরে থাকার খরচ মেটাতে তিন দফায় ৩৭ লক্ষ টাকার চেক জমা দিয়েছিলেন অঙ্কুশ দত্ত। তবে সেই চেকগুলি ‘বাউন্স’ করলেও তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি হোটেলের এক আধিকারিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ১৫:৪৭
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এক রাতের জন্য ঘরভাড়া নিয়ে হোটেলে কাটিয়েছেন বছর দুয়েক। তবে এত দিন ধরে হোটেলে থাকার জন্য কানাকড়িও খরচ করেননি। এক গ্রাহকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন নয়াদিল্লির একটি হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, ৫৮ লক্ষ টাকা বিল না মিটিয়েই হোটেল ছেড়েছেন এক বাঙালি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অঙ্কুশ দত্ত নামে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় সম্প্রতি এফআইআর করেছেন রাজধানীর অ্যারোসিটি এলাকায় একটি বিলাসবহুল হোটেল কর্তৃপক্ষ। এফআইআরে তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ এক রাতের জন্য হোটেলে উঠেছিলেন অঙ্কুশ। পরের দিন হোটেল ছাড়ার কথা থাকলেও তার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে বার বার একই কাজ করে গিয়েছেন। শেষমেশ ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলে থাকার কথা জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, এত দিন ধরে হোটেলের থাকার ভাড়া হিসাবে ৫৮ লক্ষ টাকা বিল হয়েছিল। তবে সেই বিলের এক পয়সাও না মিটিয়েই হোটেল ছেড়েছেন অঙ্কুশ। হোটেলের কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে যোগসাজশেই তিনি এ হেন কীর্তি করতে পেরেছেন বলে দাবি।

সাধারণত, হোটেলের বিল না মেটালে ৭২ ঘণ্টা পার হলেই তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে আনাটাই রীতি। তবে এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলেও অভিযোগ। হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অঙ্কুশের কাছ থেকে টাকাপয়সা নিয়ে তাঁকে হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করে দেন ফ্রন্ট অফিস ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রেম প্রকাশ। সে জন্য হোটেলের কম্পিউটার সিস্টেমে হেরফের করেছেন তিনি। এমনকি, অন্য অতিথিদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এমন কারচুপি করেছেন, যাতে মনে হয় অঙ্কুশের থাকাখাওয়ার বিল মেটাচ্ছেন তাঁরা। অঙ্কুশের সঙ্গে মিলে প্রেম-সহ কয়েক জন হোটেলকর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে এফআইআরে। এতে আরও বলা হয়েছে, ৬০৩ দিন ধরে হোটেলে থাকার খরচ মেটাতে ১০, ৭ এবং ২০ লক্ষ টাকার চেক জমা দিয়েছিলেন অঙ্কুশ। তবে সেই চেকগুলি ‘বাউন্স’ করলেও প্রেম তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি।

Advertisement

প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি থেকে শুরু করে হোটেলের অ্যাকাউন্টে গড়বড় করার অভিযোগে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন