Karnataka

Bizarre: বাড়ির সংযোগে বিভ্রাট, বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে ফোনে চার্জ দেন, মিক্সিও চালান প্রৌঢ়

বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে প্রৌঢ় বলেন, “আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকছে না। ফোন চার্জ দিতে পারছি না। মিক্সার গ্রাইন্ডারও চালাতে পারছি না। কিছু করুন!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২২ ১৭:৩৭
Share:

বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে মিক্সি চালাচ্ছেন হনুমানথাপ্পা।

তাঁর বাড়িতে দিনে ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। কিন্তু পড়শিরা সর্ব ক্ষণই বিদ্যুৎ পান। তিনি কেন এত কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতর থেকে প্রশাসন সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে অতিষ্ঠ হয়ে হনুমানথাপ্পা এক দিন বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে এক আধিকারিককে বলেন, “আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ফোন চার্জ দিতে পারছি না। মিক্সার গ্রাইন্ডারও চালাতে পারছি না। কিছু করুন! এগুলি তো প্রয়োজনীয় বিষয়। পড়শির ঘরে বার বার গিয়ে তো আর ফোন চার্জ দেওয়া যায় না বা মিক্সি চালানো যায় না!”

Advertisement

হনুমানথাপ্পার এই কথা শুনে রসিকতার সুরে ওই আধিকারিক বলেছিলেন, “এত যখন সমস্যা তা হলে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে মশলা বাটিয়ে আনুন।”

এই উত্তরটারই যেন অপেক্ষা করছিলেন হনুমানথাপ্পা। এর পর থেকে তিনি রোজ বিদ্যুৎ দফতরে যাওয়া শুরু করেন। সেখানে গিয়ে ফোন চার্জ দেন, মিক্সিতে মশলা বাটেন, আবার বাড়ি ফিরে আসেন। এ ভাবে ১০ মাস একই কাজ করে গিয়েছেন হনুমানথাপ্পা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাও কোনও আপত্তি করেননি।

Advertisement

হনুমানথাপ্পার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে তিনি বিদ্যুৎ দফতরকে হনুমানথাপ্পার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দেন। তাঁকে আশ্বস্ত করা হয় অস্থায়ী ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কিন্তু মাস কেটে গেলেও বিদ্যুৎ আসেনি হুমানথাপ্পার ঘরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন