(বাঁ দিকে) পিঙ্কি। মৃত পিটার গোল্লাপালি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে আবার চরম পদক্ষেপ এক যুবকের। এ বার কর্নাটকের হুব্বালিতে। রবিবার আত্মঘাতী হয়েছেন পিটার গোল্লাপালি নামে ওই যুবক। চিঠিতে লিখেছেন, স্ত্রী তাঁর মৃত্যু চেয়েছে। সে কারণে এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর পরিবারের দাবি, গত তিন মাস ধরে পিঙ্কি ওরফে ফিভে নামে ওই তরুণীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল পিটারের।
পিটারের ভাই জোয়াল জানিয়েছেন, রবিবার পরিবারের সকলে গির্জায় গিয়েছিলেন। ফিরে এসে পিটারের দেহ দেখতে পান তাঁরা। বাবাকে একটি চিঠি লিখে গিয়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘বাবা, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার স্ত্রী পিঙ্কি আমায় মেরে ফেলছে। ও আমার মৃত্যু চায়। ওর অত্যাচারেই আমি মরতে বাধ্য হচ্ছি।’’ চিঠিতে নিজের দাদাকে পরিবারের খেয়াল রাখতেও বলেছেন তিনি। জোয়ালের দাবি, পিটার এবং পিঙ্কি আলাদা থাকছিলেন। তাঁদের অশান্তি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
পিটারের বাবা ওবায়ার দাবি, বিচ্ছেদের জন্য তাঁর পূত্রবধূ ২০ লক্ষ টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘স্ত্রীর জন্যই আত্মহত্যা করেছে আমার ছেলে। চিঠিতে সে কথা লিখেছে। পুলিশ সেই চিঠি নিয়ে গেছে। ওর স্ত্রী ওকে ছেড়ে মায়ের কাছে চলে যায়। স্ত্রীর ভাই বিচ্ছেদের জন্য ২০ লক্ষ টাকা খোরপোশ দাবি করে।’’ ওবায়া জানিয়েছেন, দু’বছর আগে পিঙ্কির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পিটারের। অফিসের একটি মিটিংয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন তিনি। সে কারণে তাঁর চাকরিও চলে যায় বলে দাবি ওবায়ার। পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।