এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। শাস্তি হিসাবে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে করা হল জরিমানাও। দীর্ঘ আট বছর ধরে এই মামলা চলেছে।
তেলঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলার রাজেন্দ্রনগরের ঘটনা। সেখানেই একটি ভবনে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত নির্যাতিতা কিশোরী। ২০১৭ সালে তার বয়স ছিল ১২ বছর। ওই ভবনেই টিউশন পড়াতেন অভিযুক্ত। কিশোরীর বাবা-মা তাঁকে বেশি দূরে পাঠাবেন না বলে তাঁর টিউশন ক্লাসে ভর্তি করিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর কিশোরীকে রেখে তার বাবা-মা বিশেষ কাজে চেন্নাই গিয়েছিলেন। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, সে দিন রাতে কিশোরী মাকে ফোন করে জানায়, টিউশন ক্লাসে তাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন শিক্ষক। অন্যদের ওই সময়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিশোরীকে বেরোতে দেওয়া হয়নি।
খবর পেয়ে পরের দিন সকালেই ফিরে আসেন কিশোরীর বাবা-মা। শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। প্রথমে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্তের নেতৃত্বে ছিলেন ইনস্পেক্টর ভি উমেন্দর। পরে সহকারী পুলিশ কমিশনার কে অশোক চক্রবর্তী এই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যান। নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তাঁরা। তেলঙ্গানার বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বিচারক তাঁকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে বলা হয়েছে অভিযুক্তকে। এ ছাড়া, নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।