Marriage

‘দিদিকে বিয়ে করলে ঝাঁপ দিয়ে মরব’! মালাবদলের পর জামাইবাবুকে শ্যালিকার ফোন, হুলস্থুল কাণ্ড

ভয়ে, আতঙ্কে রাজেশের মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়। রাজেশ জানিয়ে দেন, তিনি এ বিয়ে করতে পারবেন না। বিয়ের শেষ লগ্নে এসে পাত্রের মুখে এমন কথা শুনে কনে এবং বর দু’পক্ষই স্তম্ভিত হয়ে যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ১২:৩৯
Share:

দিদিকে বিয়ে করতে এসে তাঁর বোনকে বিয়ে করলেন যুবক। প্রতীকী ছবি।

দিদিকে বিয়ে করতে এসে শেষমেশ হুমকির মুখে পড়ে শ্যালিকাকেই বিয়ে করতে হল এক যুবককে। এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে বিহারের সারণ জেলায়। সেই ঝামেলা দু’পক্ষের হাতাহাতিতেও গড়িয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সারণ জেলার মাঁঝি থানা এলাকার ভভৌলি গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের বাসিন্দা রামু বিনের বড় কন্যা রিঙ্কু কুমারীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ছপরার রতনপুরার বাসিন্দা রাজেশ কুমারের। বিয়ে ছিল গত ২ মে। বিয়ের দিন বরযাত্রী নিয়ে ভভৌলি গ্রামে হাজির হয়েছিলেন রাজেশ। বর এবং বরপক্ষকে স্বাগত জানায় পাত্রীপক্ষ।

নির্ধারিত সময়ে আত্মীয়স্বজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়। সমস্ত রীতিনীতি সারার পর মঞ্চে হাজির হন পাত্র-পাত্রী। সেখানে মালাবদলও হয় রিঙ্কু-রাজেশের। শুভদৃষ্টিও সম্পন্ন হয় ভালভাবে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে আত্মীয়স্বজনরা আনন্দে মেতে ছিলেন। বিয়ের অন্তিম লগ্নে যখন সিঁদুরদানের পর্ব শুরু হতে যাবে, ঠিক সেই সময়েই রাজেশের ফোন বেজে ওঠে।

Advertisement

পুতুল কুমারী এবং রাজেশ। ছবি: সংগৃহীত।

ফোনটা বার করে নাম দেখতেই আঁতকে ওঠেন রাজেশ। ফোন রিসিভ করেন তিনি। ফোনের ও পার থেকে তখন হুমকির সুর ভেসে আসে— “এখনই যদি বিয়ে বন্ধ না করো, তা হলে ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা করব।” এই হুমকির পরই ফোনটা কেটে যায়। ভয়ে, আতঙ্কে রাজেশের মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়। রাজেশ জানিয়ে দেন, তিনি এ বিয়ে করতে পারবেন না। বিয়ের শেষ লগ্নে এসে পাত্রের মুখে এমন কথা শুনে কনে এবং বর দু’পক্ষই স্তম্ভিত হয়ে যায়।

রাজেশ শেষমেশ তাঁর পরিবারকে জানান, রিঙ্কু নয়, তাঁর বোন পুতুলকে বিয়ে করতে চান তিনি। কেন বিয়ে করতে চান, সেই ঘটনাটাও পরিবারের সদস্যদের খুলে বলেন। রাজেশের মুখে এ কথা শুনে মেজাজ হারিয়ে ফেলে কনেপক্ষ। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তার পর সেই পর্ব হাতাহাতিতেও পৌঁছয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানতে পারে, রিঙ্কুর বোন পুতুলের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। রিঙ্কুকে বিয়ে করায় আপত্তি জানান তিনি। এমনকি আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে রাজেশকে ফাঁসাবেন বলেও শাসান পুতুল। ভয় পেয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন রাজেশ। শেষমেশ দু’পক্ষকে বুঝিয়ে পুতুলের সঙ্গে রাজেশের বিয়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন