ধৃত সেই যুবক (সাদা জামা পরা)। ছবি: সংগৃহীত।
চাকরি পেলেই তবে কন্যাকে বিয়ে দেবেন তাঁর সঙ্গে। যুবককে এমনই জানিয়েছিল প্রেমিকার পরিবার। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল, চাকরিও জুটছিল না তাঁর। শেষমেশ প্রতারণার রাস্তা বেছে নেন উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর সেই যুবক।
ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক সেজে যাত্রীদের প্রতারণা করা শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, প্রেমিকার বাড়িতেও বার্তা পৌঁছে যায় যে, টিকিট পরীক্ষকের চাকরি পেয়েছেন যুবক। তবে আসল সত্যটা বেরিয়ে আসতে বেশি সময় লাগেনি। শেষমেশ এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জালে ধরা পড়েন যুবক।
মধ্যপ্রদেশের রীবা জেলার বাসিন্দা আদর্শ জয়সওয়াল। তিনি বি টেক পাশ করেছেন। কিন্তু চাকরি পাচ্ছিলেন না। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন আদর্শ। কিন্তু সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যত ক্ষণ না চাকরি জোটাতে পারবেন, তাঁর হাতে কন্যাকে তুলে দেবেন না। আর তাই টিকিট পরীক্ষক সেজে কাজ করছিলেন বলে দাবি আদর্শের।
মধ্যপ্রদেশ থেকে বারাণসীতে চলে এসেছিলেন আদর্শ। সেখানে আসার আগে নিজের গ্রামে একটি সাইবার ক্যাফেতে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানান। তার পর বারাণসীতে এসে টিকিট পরীক্ষকের কাজ শুরু করেন। অনেক দিন ধরেই বিষয়টি চলছিল। তবে সম্প্রতি জ্যোতি কিরণ নামে এক যাত্রীকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করেছিলেন। সেখানে ট্রেনের কোচ নম্বর হিসাবে উল্লেখ ছিল বি ৩। ওই যাত্রীর টিকিট ছিল জনতা এক্সপ্রেসে। বারাণসী থেকে ওঠার কথা ছিল তাঁর। জ্যোতির অভিযোগ, ট্রেন ধরতে এসে দেখেন বি ৩ কোচই নেই ট্রেনে। তার পরিবর্তে রয়েছে এম ২। তার পরই সন্দেহ হয় জ্যোতির। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রেলকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর পর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীনেশ যাদব নামে এক যাত্রীকে অনলাইনে মুম্বইয়ের টিকিট কেটে দিয়েছিলেন আদর্শ। কিন্তু টিকিট দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তার পর টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে দু’জনের বচসাও হয়। টিকিট পরীক্ষকের পরিচয়পত্র দেখিয়ে আদর্শ বেশ কয়েক জন যাত্রীকে প্রতারণা করেছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। শুক্রবার আদর্শকে গ্রেফতার করা হয়।