De-Addiction Centre

নেশামুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে নতুন নেশার ফাঁদে যুবক, পেট থেকে উদ্ধার ২৯টি স্টিলের চামচ, ব্রাশ এবং পেন!

জানা গিয়েছে, যুবকের নাম সচিন। তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের বাসিন্দা। মাদকাসক্ত হওয়ায় তাঁর পরিবারের লোকেরা হাপুরের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৪
Share:

(বাঁ দিকে) মাদকাসক্ত যুবক সচিন। (ডান দিকে) তাঁর পেট থেকে উদ্ধার হওয়া ব্রাশ, চামচ। ছবি: সংগৃহীত।

মাদকের নেশা ছাড়ানোর জন্য বাড়ির লোকেরা নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন যুবককে। কিন্তু সেখানে গিয়ে নতুন নেশার ফাঁদে পড়লেন তিনি। মদ বা মাদক নয়, খাওয়া শুরু করেন স্টিলের চামচ, দাঁত মাজার ব্রাশ থেকে পেন।

Advertisement

সম্প্রতি তাঁর পেটে খুব যন্ত্রণা শুরু হয়। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করে দেখতেই চমকে ওঠেন। দেখেন পাকস্থলীতে অদ্ভুত কিছু জিনিস আটকে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। অস্ত্রোপচার করতেই পেটের ভিতর থেকে ২৯টি স্টিলের চামচ, দাঁত মাজার ১৯টি ব্রাশ এবং পেন উদ্ধার হয়।

জানা গিয়েছে, যুবকের নাম সচিন। তিনি উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের বাসিন্দা। মাদকাসক্ত হওয়ায় তাঁর পরিবারের লোকেরা হাপুরের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে খাবার খুবই সামান্য পরিমাণে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। ফলে যুবকের খিদে মিটত না। বাড়ি থেকে যদিও খাবার আসত, তার বেশির ভাগই সচিনের কাছে পৌঁছোত না বলে দাবি। সচিনের কথায়, ‘‘কখনও কখনও দিনে একটা বিস্কুট খেয়েও কাটাতে হত।’’

Advertisement

খিদে মেটাতে তাই অন্য নেশা শুরু করেন সচিন। নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে স্টিলের চামচ চুরি করা শুরু করেন। তার পর শৌচাগারে গিয়ে সেটি দু’টুকরো করে মুখে পুরে নিতেন। তার পর সেটি গিলে ফেলতেন জল গিয়ে। প্রথম প্রথম কষ্ট হত বলে জানিয়েছেন সচিন। তার পর সেটি অভ্যাসে পরিণত হয়। শুধু চামচই নয়, খিদে পেলে দাঁত মাজার ব্রাশ, এমনকি পেনও খেয়ে ফেলতেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement