মৃদুলা সিনহার পথেই হাঁটলেন নাজমা হেপতুল্লা। মণিপুর বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় নেতা এন বীরেন সিংহকেই সরকার গড়তে ডাকলেন রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লা। জানালেন, রাজ্যের ভালর জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে ‘একদা কংগ্রেসি’ নাজমা তাঁর পুরনো দলকে ‘দায়িত্বশীল বিরোধীর ভূমিকা পালনের’ পরামর্শ দিয়েছেন।
আগামীকাল বেলা একটায় মণিপুরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন এন বীরেন সিংহ। ২৩ মার্চের মধ্যে বিধানসভায় তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলবেন রাজ্যপাল। কার্যত আজ সকালে গোয়া বিধানসভা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়, নাজমার কাজটি অনেক সহজ করে দিয়েছে। গোয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, একক বৃহত্তম দলকে সরকার গড়তে ডাকার সাংবিধানিক প্রথাটি আসলে সংখ্যার উপরেই নির্ভরশীল। গোয়ায় রাজ্যপালের সামনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারাটাকে কংগ্রেসেরই ব্যর্থতা বলে সুপ্রিম কোর্ট মনে করে।
এক ছবি মণিপুরেও। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা ২৮। কিন্তু গোয়ার মতো এ ক্ষেত্রেও একই কৌশল নেয় বিজেপি। ২১ বিধায়ক-সহ ছোট ছোট দলগুলির বিধায়কদের সমর্থন আদায় করে, ৩২ বিধায়ককে আগেই রাজ্যপালের কাছে হাজির করান বিজেপি নেতৃত্ব। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতেই রাজ্যপালের পক্ষে বিজেপি পরিষদীয় নেতাকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানানোর পথ মসৃণ হয়ে যায়।
আজ বিকেলে ইম্ফল রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লা বলেন, ‘‘আমার ৩৭ বছরের অভিজ্ঞতা। সুপ্রিম কোর্টও রায় দিয়েছে, রাজ্যের জন্য যা ভাল—সে সিদ্ধান্ত নেওয়াই রাজ্যপালের দায়িত্ব।’’ কংগ্রেসের চেয়ে বিজেপি জোটের স্থায়িত্ব ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা-দুইই বেশি বলে রাজ্যপাল মনে করেন। বলেন, ‘‘রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যাঁরা স্থায়ী সরকার চালাতে পারবে তাঁদেরই ডেকেছি।’’ প্রাক্তন কংগ্রেসি নাজমার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। নাজমার পাল্টা, ‘‘কংগ্রেসের হয়ে ১৭ বছর রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারপার্সন ছিলাম। কংগ্রেস-বিরোধী পাঁচ সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। কেউ সততা বা নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, কাল বীরেন ও টি বিশ্বজিৎ সিংহ শপথ নেবেন।