সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও কমেনি জঙ্গি হানা। সীমান্তের ওপার থেকে ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে পাক বাহিনীও। ফলে প্রশ্নের মুখে পড়ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাই পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। জানালেন, প্রয়োজনে ফের পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করবে ভারত।
ঘটনাচক্রে এ দিনই ফের সংঘর্ষবিরতি ভেঙে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। আবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের একটি গ্রামে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় পুলিশ-সেনা যৌথ বাহিনীর। গুলি বিনিময়ের মাঝে পড়ে আহত হন আহমদ কুমার নামে মৎস্য দফতরের এক নিরাপত্তা রক্ষী। হাসপাতালের পথে মারা যান তিনি। দু’জন জঙ্গির সঙ্গে প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত সংঘর্ষ চলেছে বাহিনীর।
এর আগে আজ দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে পর্রীকর বলেন, ‘‘প্রতিটি সেনার মৃত্যুই কষ্টের। কিন্তু পাক হামলার জবাব দিতে ভারত বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে ফের সীমান্ত পেরিয়ে হামলা হবে।’’
দিল্লিতে পর্রীকরের হুমকির পাল্টা জবাব এসেছে রাওয়ালপিণ্ডি থেকে। দায়িত্ব পাওয়ার পরে আজ রাওয়ালপিন্ডি সেনা ছাউনি পরিদর্শনে যান নয়া পাক সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের পক্ষ থেকে যদি কোনও হামলা হয়, তাহলে তার যোগ্য জবাব দিতে হবে।’’
আজ ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে রাজৌরি জেলার ভিমবেড় গলি সেক্টরে গুলি চালায় পাক রেঞ্জার্সরা। স্নাইপারের গুলিতে আহত হন বিএসএফের এক হেড কনস্টেবল। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে এ যাবৎ মোট ২৬ জন পাক সেনার গুলিতে মারা গিয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৪ জন সেনা। বাকিরা গ্রামবাসী। আহত অন্তত ৮৩ জন। নাগরোটা সেনা শিবিরে হামলার তদন্ত নিয়ে এখনও মুখ খুলতে রাজি নন গোয়েন্দারা। তবে সাম্বার রামগড় সেক্টরের চামলিয়ালে বিএসএফের গুলিতে নিহত তিন জঙ্গির এক জনের হাতে আফগানিস্তানের ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। নিহত ওই তিন জঙ্গি পাকিস্তানি বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে তাঁদের বিভ্রান্ত করতে আফগানিস্তানের নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে বলেও গোয়েন্দাদের সন্দেহ।