সরকার গড়তে দরকার ছিল ২১ জন বিধায়কের সমর্থন। মনোহর পর্রীকর আস্থা ভোটে আজ প্রমাণ দিলেন, তাঁর পাশে আছেন ২২ জন। ফলে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের পথে শেষ কাঁটাটিও পেরিয়ে গেলেন সদ্য-প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
৪০ আসনের বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এ বার ১৩। তাঁদের মধ্যে এক জন আজ ছিলেন অস্থায়ী স্পিকারের ভূমিকায়। বিজেপি নিশ্চিত ছিল, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির ৩ জন, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির ৩ জন এবং ৩ নির্দল বিধায়কের সমর্থন পর্রীকরের দিকেই যাবে। ভোটের ফল বেরোনোর পরেই নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে বৈঠকে ওই ৯ বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছিলেন, পর্রীকর মুখ্যমন্ত্রী হলে বিজেপিকে সমর্থন করতে আপত্তি নেই তাঁদের।
আরও পড়ুন: মাটি পড়তে রণংদেহি ভাবাদিঘির মহিলারা
আজ ওই ৯ জনের পাশাপাশি শরদ পওয়ারের এনসিপি-র একমাত্র বিধায়কও পর্রীকরের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে বিজেপির ১২ এবং অন্যান্য দলের মোট ১০ জন মিলিয়ে ২২ বিধায়কের সমর্থনের প্রমাণ দিতে অসুবিধে হয়নি পর্রীকরের।
রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের ক্ষোভ, ১৭টি আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও স্রেফ হাইকম্যান্ডের গা-ছাড়া মনোভাবের জন্য তাঁরা সরকার গড়তে পারলেন না। গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দিগ্বিজয় সিংহের ভূমিকার প্রতিবাদে আজ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বজিৎ রানে। আজ অবশ্য দিগ্বিজয় টুইটারে লেখেন, ‘‘বিজেপি-বিরোধী ভোট পেয়ে যে বিধায়কেরা জিতেছিলেন, তাঁরাই গোয়াকে বিজেপির হাতে বেচে দিলেন।’’ চণ্ডীগড়ে রাহুল গাঁধী বলেন, ‘‘টাকা ছড়িয়ে গোয়া-মণিপুরে জনাদেশ চুরি করেছে বিজেপি।’’ পর্রীকরের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘গোয়ায় কাজ করতে এসে মজা করলে এই অবস্থাই হয়!’’