কেন্দ্রের দাবি ছিল, আধার কার্ড থাকলে রেশন পরিষেবা পাওয়া সহজ হবে। কমবে দুর্নীতি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে আধার সংক্রান্ত জটিলতায় রেশনই পাচ্ছেন না বহু মানুষ।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে এক জনজাতি মহিলার আধার কার্ড না থাকায় তাকে রেশন না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই মহিলার না খেয়ে মৃত্যু হয়। সে সময়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এক যোগে সেই তথ্য খারিজ করতে মাঠে নেমে পড়েছিল। আজ এক বেসরকারি সংস্থার করা সমীক্ষা বলছে, ওই রাজ্যে কমবেশি প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ আধার কার্ডের গণ্ডির বাইরে রয়েছেন, যাদের বড় সংখ্যক জনজাতি সমাজের।
সম্প্রতি রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ— দেশের তিন প্রান্তে প্রায় তিন হাজার পরিবারের উপরে আধার সংক্রান্ত পরিষেবার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই তিন রাজ্যে আধার কার্ডের কাজ না করা, তথ্যগত ভুল, আঙুলের ছাপ না-মেলার মতো প্রযুক্তিগত সমস্যায় রেশন পাচ্ছেন না প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গে আধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও প্রায় ০.৮ শতাংশ মানুষ ওই প্রযুক্তিগত সমস্যার শিকার। তৃণমূল স্তরে যে সমস্যা রয়েছে তা স্বীকার করেছেন আধার কর্তৃপক্ষের সিইও অজয় পাণ্ডে। আজ তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে কিছু জায়গায় গরিব মানুষেরা রেশন পরিষেবার বাইরে রয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আধার জটিলতায় কেউ যাতে রেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সে’টি নিশ্চিত করতে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।’’