— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর পাকিস্তানের সমর্থনে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন কেউ কেউ। সেই অপরাধে অসমে ৪২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা খবরটি নিশ্চিত করেছেন। হিমন্ত জানিয়েছেন, ‘ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন’-এর অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনেও।
গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ওই ঘটনার পরেই সমাজমাধ্যমে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লিখে পোস্ট করেছিলেন কেউ কেউ। এর পরেই তৎপর হয় অসম পুলিশ। তিন দিনের মধ্যে ১১ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তার পরের ১১ দিনে একে একে আরও ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২-এ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিরোধী দল এআইইউডিএফের বিধায়ক আমিনুল ইসলামও।
রবিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডলে হিমন্ত লেখেন, ‘‘ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন করা বিশ্বাসঘাতকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট ৪২ জন দেশদ্রোহীকে জেলে ভরা হয়েছে ইতিমধ্যেই।’’ উল্লেখ্য, হিমন্ত আগেও বলেছিলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনও মিল নেই। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও নেই। আমাদের সে ভাবেই থাকতে হবে। আমরা সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট খতিয়ে দেখছি। যাঁদের পোস্ট আমাদের দেশবিরোধী বলে মনে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ হামলার দিনতিনেক পরেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেন, কেউ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তি কিংবা পাকিস্তানকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করলে অসম তা সহ্য করবে না। শুক্রবার অসমবাসীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি এ-ও বলেন, ‘‘কেউ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান তুললে তাদের পা ভেঙে দেওয়া হবে।’’ সেই আবহেই কড়া হাতে ধরপাকড় শুরু করল অসমের পুলিশপ্রশাসন।