কিছুদিনের মধ্যেই ভুবনেশ্বরে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হওয়ার কথা। দলীয় ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগেই ফের রেলকে নিশানা বানিয়ে শক্তি দেখাল মাওবাদীরা।
বেশ কিছু দিন শান্ত থাকার পরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার রায়গড়া জেলার দইকালু স্টেশনে হামলা চালায় সন্দেহভাজন মাওবাদীদের একটি গোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী আসার প্রতিবাদেই ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে মাওবাদীরা।
রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ দইকালু স্টেশনে সশস্ত্র মাওবাদীদের একটি দল সোজা ঢুকে পড়ে স্টেশন মাস্টারের ঘরে। টেবিল-চেয়ার থেকে শুরু করে রেলের জরুরি যন্ত্রপাতিও মাটিতে আছড়ে ফেলে ভাঙে তারা। ওয়াকিটকিও ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দলটিতে মোট ১৫-২০ জন মাওবাদী ছিল। তাদের কয়েক জন স্টেশনমাস্টার এস কে পারিদা ও রেলের টোকেন-বাহক গোবিন্দ হিকাকাকে আটক করে রেখে দেয়। ওই গোলমালের মধ্যে কয়েক জন মাওবাদী আবার লাইনে নেমে একটি মালগাড়ির চালককে ভয় দেখিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় ট্রেনটিকে।
আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলায় দ্রুত শুনানি নয়
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দু’ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়ার সময় স্টেশনের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ছোট মাপের বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। যদিও লাইনের সে ভাবে ক্ষতি হয়নি। তবে সতর্কতার জন্য শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধই ছিল। পরে প্রথমে মালগাড়ি পরে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো শুরু হয়।
স্টেশন চত্বরে বিভিন্ন পোস্টে বেশ কিছু হাতে লেখা পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়ে যায় মাওবাদীরা। তাতে প্রধানমন্ত্রীর ওড়িশা সফরের প্রতিবাদ ছিল। বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকের ঠিক আগে বিষয়টি চিন্তায় রেখেছে গোয়েন্দাদের। শুধু মাওবাদীই নয়, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি নেতাদের প্রাণে মারার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে এমনিতেই জানতে পেরেছেন তাঁরা।