গৌরী লঙ্কেশ। ফাইল চিত্র।
প্রবীণ সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের খুনের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও মাওবাদী যোগ পাওয়া যায়নি বলে জানাল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।
৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মোটরবাইক আরোহী আততায়ীদের গুলিতে মারা যান গৌরী। পর দিনই খুনের তদন্ত করতে ২১ সদস্যের সিট গড়ে কর্নাটক সরকার। গৌরীর ভাই ইন্দ্রজিৎ শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন, তাঁর দিদির খুনের পিছনে থাকতে পারে মাওবাদীদের হাত। কারণ কর্নাটক সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফেরানোর গৌরীর চেষ্টাকে ভাল ভাবে নেয়নি মাওবাদীদের একাংশ। তার ফলেই এই হামলা হতে পারে বলে দাবি করেছিলেন ইন্দ্রজিৎ।
কিন্তু সিট সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এমন কোনও সূত্রই পাওয়া যায়নি। শুধু তা-ই নয়, কর্নাটকের যে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছিল, সেই দক্ষিণ কন্নড়, চিকমগালুরু এবং উদুপি থেকে পুলিশ দলকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। বেঙ্গালুরু পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘দিন দুয়েকের মধ্যে ওই এলাকা থেকে সব দলই ফিরে আসবে। গৌরী লঙ্কেশ ও মাওবাদী যোগ নিয়ে যত জনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব, সব বলা হয়েছে। এটা ঠিক, মাওবাদীদের কয়েক জনকে মূলস্রোতে ফেরানো নিয়ে একাংশের মধ্যে গৌরীকে নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। কিন্তু তাঁকে হত্যা করার মতো মনোভাব দেখা যায়নি।’’
গৌরী খুনের আততায়ীরা এখনও অধরা। তবে তদন্তে ক্রমশ হত্যা রহস্য আরও জটিল হচ্ছে। পুলিশের এক সূত্রের দাবি, জেরার মুখে এক সঙ্গীতশিল্পী তাদের জানিয়েছেন, এক ধর্মগুরু তাঁর সমর্থকদের গৌরীকে খুনের জন্য ওস্কাতেন। তবে কে তিনি, এখনই তা প্রকাশ করেনি পুলিশ।