পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখে হতবাক সহকারী জেলাশাসক সুদীপ নাথ। বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝোলানো আর ভিতরে চলছে সংস্কৃত বোর্ডের পরীক্ষা। তালা খুলিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে তাঁর প্রায় ১৫ মিনিট সময় লাগল। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে তিনি প্রবেশ করতে চাইছিলেন, তা পুরোটাই ভেস্তে যায়। গণ-টোকাটুকি ধরার কোনও সুযোগই পেলেন না তিনি।
অসম রাজ্য সংস্কৃত বোর্ডের অধীনে টোলের পরীক্ষার আজ ছিল তৃতীয় দিন। করিমগঞ্জের সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বিরজাসুন্দরী বিদ্যানিকেতনে পরীক্ষা চলছিল। সংস্কৃত বোর্ডের পরীক্ষায় গণ টোকাটুকির অভিযোগ প্রতিবারের মতো এবারেও আসে জেলাশাসকের কাছে। অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীরা বই নিয়ে নকল করছে। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ কলেজ পড়ুয়া ছাত্রও নম্বরের আশায় সংস্কৃত বোর্ডের পরীক্ষায় বসেছে।
অসমে টেটের মাধ্যমে শিক্ষক নিযুক্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর টেটের পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয়। নকলের মাধ্যমে নম্বর বাগানো তেমন অসুবিধেও নয়। তাই কলেজ পড়ুয়া একাধিক ছাত্র এই পরীক্ষায় বসেছে বলে অভিযোগ পান জেলাশাসক মনোজ ডেকা। সে কারণেই আজ যখন সংস্ক-ত বোর্ডের ইংরাজি পরীক্ষা চলছিল, সে সময় করিমগঞ্জের সার্কেল অফিসার হোমেন গোঁহাই বরুয়াকে সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং সহকারী জেলাশাসক সুদীপ নাথকে বিরজাসুন্দরী বিদ্যানিকেতনে পাঠান তিনি। সার্কেল অফিসার নিজেই প্রত্যক্ষ করেন কী ভাবে বই নিয়ে ইংরাজি পরীক্ষা চলছিল। তিনি ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন। ব্যবস্থা নেন দুই ইনভিজিলেটরের বিরুদ্ধেও। অন্য দিকে, বিরজাসুন্দরী বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে যাওয়া সহকারী জেলাশাসককে প্রায় ১৫ মিনিট বিদ্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বিদ্যালয়ের দু’টি গেটই ছিল তালাবন্ধ। গেট বন্ধ করে পরীক্ষা চলার কারণ বুঝতে অবশ্য অসুবিধে হয়নি তাঁর। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষককে শো-কজ করেছেন তিনি। দু’জনেই জেলাশাসককে রিপোর্ট দিয়েছেন।