মৃত বেড়ে ১১

উত্তর ভারত জুড়ে বৃষ্টি, অমরনাথ যাত্রা স্থগিত

ভারী বৃষ্টির জেরে নাজেহাল গোটা উত্তর ভারত। জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ। দুর্যোগের ছবিটা মোটামুটি উত্তরের সব রাজ্যেই এক। এ দিকে, আজ জম্মু ও কাশ্মীরে খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাঝপথেই থমকে গেল অমরনাথ যাত্রা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৭
Share:

রাজপথে জলপথ। নয়াদিল্লির গুড়গাঁও সড়কে রবিবার। ছবি: পিটিআই।

ভারী বৃষ্টির জেরে নাজেহাল গোটা উত্তর ভারত। জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ। দুর্যোগের ছবিটা মোটামুটি উত্তরের সব রাজ্যেই এক।

Advertisement

এ দিকে, আজ জম্মু ও কাশ্মীরে খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাঝপথেই থমকে গেল অমরনাথ যাত্রা। জায়গায়জায়গায় ভেঙে পড়েছে ঘর-বাড়িও। আর প্রবল বৃষ্টিতে গোটা উত্তর ভারতে বাড়ি ধসে মারা গিয়েছেন অন্তত ১১ জন। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সাত জন, কাশ্মীরে তিন জন এবং উত্তরাখণ্ডে এক জন মারা গিয়েছেন।

চার দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নয়াদিল্লিও। বেশ কিছু এলাকা এখনও জলের তলায়। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এর পরেই বেশ কিছু জায়গায় ধস নামে। ফলে উধমপুর জেলার গঙ্গরুর কাছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণের জেরে বেশ কয়েকটি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

আবার, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগামে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে আজ মারা গিয়েছে একই পরিবারের দুই কিশোর। পাশাপাশি, নিখোঁজ দু’জন। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন পহেলগামের আররু গ্রামের কাছে ঘুরতে বেরিয়েছিল ওই দু’জন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এখনও মৃত ও নিখোঁজদের পরিচয় জানা যায়নি। আবার রামবনের কাছে প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মী।

প্রতি বছরই এই সময়টায় শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা। এ বছর ২ জুলাই শুরু হয়েছিল যাত্রা। আগামী ২৯ অগস্ট তা শেষ হওয়ার কথা। প্রায় দেড় লক্ষ তীর্থযাত্রী অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তবে উত্তর কাশ্মীরের বালতাল এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাম বেসক্যাম্প থেকে শুরু হওয়া যাত্রা এ দিন প্রবল বৃষ্টি ও ধসে স্থগিত হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, যত ক্ষণ না বৃষ্টি থামছে, তত ক্ষণ রাস্তা খোলা যাবে না। তবে রাস্তা পরিষ্কার করে খুব শীঘ্রই যাত্রা শুরু হবে।

অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশেও গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। তিনটি আলাদা আলাদা জায়গায় প্রাণ গিয়েছে অন্তত সাত জনের জনের। এঁদের মধ্যে এক শিশুকন্যাও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি ভেঙে সীতাপুরে ১০ বছর বয়সি এক নাবালক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। একই ভাবে বদায়ূঁ এবং বরেলীতে মারা গিয়েছেন অন্তত তিন জন। আবার, গাজিয়াবাদে একটি নির্ণীয়মান ফ্ল্যাটের পাঁচিল ভেঙে মারা গিয়েছে ওই শিশু।

তবে বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ আপাতত নেই। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা এ রকম আবহাওয়াই থাকবে। উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম অংশে বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। হরিদ্বারে গঙ্গা বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।

শুধু জম্মু-কাশ্মীর বা উত্তরপ্রদেশই নয়, উত্তরাখণ্ডেও এই দুর্যোগের বলি হয়েছেন এক নির্মাণকর্মী। দেহরাদূনে একটি রেস্তোরাঁ ভেঙে পড়ে মারা গিয়েছেন ওই কর্মী। ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন