Mayanmar

ভারতে অস্থিরতা তৈরি করতে চিনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড ৪ জঙ্গি নেতা!

ওই সূত্রের দাবি, মায়ানমার এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে কাজে লাগিয়ে ছায়াযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে লাল ফৌজ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:২২
Share:

ছবি: পিটিআই।

ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে চিন। সরকারি এক সূত্রে তেমনই তথ্য উঠে এসেছে। ওই সূত্রের দাবি, মায়ানমার এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে কাজে লাগিয়ে ছায়াযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে লাল ফৌজ।

এ বছরেই মায়ানমারের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি এবং আরাকান আর্মি-কে জঙ্গিগোষ্ঠীর তকমা দেওয়া হয়েছে। চিনের অঙ্গুলিহেলনে মায়ানমারের এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করার পাশাপাশি আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে বলে দাবি ওই সূত্রের।

সীমান্ত এলাকা তো বটেই, ভারতের ভিতরে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরির জন্য এবং জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে নানা বিষয়ে আরও মদত করার জন্য অক্টোবরের মাঝেই দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা চিনের কুনমিংয়ে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছে বলে দাবি ওই সূত্রের। আরও দাবি করা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই এক অবসরপ্রাপ্ত চিনা সেনার সঙ্গে দেখা করেছেন। ওই চিনা সেনাই নাকি এ ক্ষেত্রে যোগসূত্রের কাজ করছে। গোটা বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞর বলছেন, লাদাখের পরিস্থিতির উপর নজর এখন গোটা বিশ্বের। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তলে তলে হিমালয় অঞ্চলে ঘুটি সাজানোর চেষ্টা করছে চিন। আর এ ক্ষেত্রে সহজ শিকার হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিগোষ্ঠীরা। মায়ানমারের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে কাজে লাগিয়ে ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে উস্কে দিতে চাইছে চিন।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদীর ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে ‘অতি উদ্যোগী’ কেন্দ্র, তিরস্কার করেও ছাড়পত্র শীর্ষ আদালতের

যদিও চিনের বিদেশমন্ত্রক এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, চিন কখনওই অন্য দেশের কাজকর্মে নাক গলানোর পক্ষে নয়। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বরাবরই অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে অনেক বিচক্ষণতা এবং দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছে চিন। কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতেই অস্ত্র ব্যবসা করে তারা। অস্ত্র পাচারে কখনওই সায় দেয় না চিন।

অন্য দিকে, মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউনাইটেড ওয়া আর্মিও অস্বীকার করেছে যে, চিনের ইশারাতে ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করছে তারা। ইউনাইটেড আর্মির মুখপাত্র বলেন, “আমরা কোনও দেশের ক্ষতি করতে চাই না। আমাদের নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে, এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন