প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার রাজনৈতিক অভিষেকের দিনেই লখনউতে ছিল কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বরের ছেলের বিয়ে। নিমন্ত্রিতের তালিকায় থাকা মায়াবতী এবং অখিলেশ সিংহ যাদব আসবেন ধরে নিয়ে গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ পটেলের মত কংগ্রেসি হেভিওয়েটরা পৌঁছে গিয়েছিলেন বিবাহ অনুষ্ঠানে। অখিলেশ-মায়াকে অভ্যর্থনা করতে।
শেষ পর্যন্ত আসেননি এসপি এবং বিএসপি-র এই দুই শীর্ষ নেতা। রাজ বব্বরের বাড়ির সেই অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন বলে মায়াবতী ওই একই দিনে তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের ছেলের বিয়েতেও যাননি বলে সূত্রের খবর।
অতএব বার্তা স্পষ্ট। প্রিয়ঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশে ভোটের ময়দানে নামিয়ে কংগ্রেসের এই আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেওয়াকে স্বস্তির চোখে দেখছে না এসপি-বিএসপি জোট। ঘরোয়া ভাবে জানাচ্ছে, এর ফলে আখেরে লাভবান হতে পারে বিজেপি। প্রাথমিক ভাবে জোটের বাইরে থাকা কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার লাইন নিয়ে চলছিলেন অখিলেশ। এসপি নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল, কংগ্রেস ৮০টি আসনে একা লড়াই করলেও সমস্যা নেই। বিজেপির উচ্চবর্ণের ভোট কাটবে কংগ্রেস। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা মাঠে নামার পরে খেলার রং যে বদলাবে, বুঝতে পারছেন মায়াবতী-অখিলেশ। তবে এখনই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় আসতে মায়াবতীর মতো নারাজ অখিলেশও।
এসপি নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির গড়। সেখানে কংগ্রেসেকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার প্রশ্নই উঠছে না। বিএসপি এবং এসপি যে সমঝোতায় পৌঁছেছে, তাকে সফল করতে তারা একে অন্যের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য ঝাঁপাবে। উত্তরপ্রদেশের প্রবীণ এসপি নেতা উদয়বীর সিংহ বলছেন, ‘‘এখানে মানুষ যা চাইছেন, তার উত্তর প্রিয়ঙ্কা দিতে পারবেন না। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি যে নীতি নিয়ে মানুষের কাছে যাবে, তার উপরেই ভোট হবে। প্রশ্নটি সামাজিক ভিত্তিরও। এসপি-বিএসপি প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা বেশি।’’ কংগ্রেস নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, প্রিয়ঙ্কা প্রচারে নামলে যে হাওয়া উঠবে, তাতে বেশ কিছু আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতা করা ছাড়া রাস্তা থাকবে না এসপি-বিএসপি-র। কারণ তা না-হলে তাদেরই ভোটে ভাঙন অবশ্যম্ভাবী। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের বক্তব্য, লোকসভার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হতে সময় রয়েছে। ফলে অপেক্ষাই শ্রেয়।