মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ উড়িয়ে শীতের দিল্লিতে একজোট বিরোধীরা। শরদ পওয়ারের দলের আমন্ত্রণে এই জমায়েতে এলেন মায়াবতী-অখিলেশ যাদবের দলের নেতারাও। সঙ্গে থাকল কংগ্রেসও।
শীতের সময়ে এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেল ফি-বছরই নিজের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। সেখানে সাধারণত উপস্থিত থাকেন সব দলের নেতারাই। কিন্তু এ বার প্রফুল্লের বাংলোয় এলেন না বিজেপির কেউ। বরং মধ্যাহ্নভোজের এই আয়োজন হয়ে উঠল বিরোধীদের শক্তি দেখানোর মঞ্চ। কংগ্রেসের আমন্ত্রণেও যে এসপি-বিএসপি নেতাদের সাম্প্রতিক অতীতে তেমন সাড়া দিতে দেখা যায়নি, আজ তাঁরাই সবার সঙ্গে মিলে ছবি তোলালেন। ঘরোয়া আলোচনায় উঠে এল রাফাল থেকে রাজ্যে-রাজ্যে জোটের প্রসঙ্গও। খাবার টেবিলেই হয়ে গেল জোটের সলতে পাকানোর এক প্রস্ত মহড়া।
জমায়েত প্রফুল্লের বাড়িতে হলেও তার মূল আয়োজক শরদ পওয়ারই। মায়াবতীর দলের সতীশ মিশ্র, অখিলেশের দলের রামগোপাল যাদব ছিলেন মূল আকর্ষণ। পৌঁছে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের আহমেদ পটেল। তাঁদের সঙ্গেই তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি-র লালু-কন্যা মিসা ভারতী, ডিএমকে-র কানিমোঝি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা।
ক’দিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মায়াবতী কি এনডিএ-তে যোগ দেবেন? সরাসরি জবাব এড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোনও সমঝদার ব্যক্তি কি টিভির সামনে এ কথা বলবেন?’’ আসলে মোদী বোঝাতে চেয়েছিলেন, বিরোধী জোট ভেঙেও এনডিএ-র হাত শক্ত করতে পারেন অনেকে। এবং খোলাখুলিই বলেছিলেন, বিরোধী জোট মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। পরের লোকসভা নির্বাচন হবে ‘জনতা’ বনাম ‘মহাজোট’-এর।
কিন্তু আজ বিরোধীরা ফের বুঝিয়ে দিলেন, মহাজোট মজবুত। এক নেতা বলেন, ‘‘কৌশলগত কারণে বিরোধী জোটে থেকেও অনেকে অনেক রকম অবস্থান নিচ্ছে বটে। কিন্তু একটি বিষয়ে সকলে একমত। মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও।’’