মোদীর দলিতদের পা ধোয়ানো এবং শাহি স্নানকে কটাক্ষ করলেন মায়াবতী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বিরোধীরা বলেছিলেন, ভোটের আগে চমক। উচ্চবর্ণ এবং দলিতদের মন পেতে নয়া স্টান্ট। এ বার প্রয়াগরাজে মোদীর পুণ্যডুব এবং দলিতদের পা ধোয়ানোকে আরও তীক্ষ্ণ ভাষায় কটাক্ষ করলেন মায়াবতী। বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) সুপ্রিমোর খোঁচা, ‘মোদীর এই শাহি স্নান কি নোটবন্দি, জিএসটি, প্রতিশ্রুতিঙ্গের মতো সব পাপ ধুয়ে দেবে?’ দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলার জন্য দেশবাসী তাঁকে কখনই ক্ষমা করবে না, তোপ দেগেছেন উত্তরপ্রদেশের দলিত নেত্রী মায়াবতী।
রবিবারই প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলায় ত্রিবেণী সঙ্গমে শাহি স্নান সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্নানের পর প্রয়াগরাজের পাঁচ সাফাইকর্মীর পা ধুয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মোদীকে তাঁর দল মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর সঙ্গে তুলনা করলেও বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, এক দিকে কুম্ভস্নান করে উচ্চবর্ণ এবং পা ধুয়ে দিয়ে দলিতদের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার সেই ইস্যুতেই ময়দানে নামলেন উত্তরপ্রদেশের দলিত নেত্রী মায়াবতী।
উত্তরপ্রদেশে দলিত ভোটব্যাঙ্ক কার্যত মায়াবতীর দখলে। দলিত ও নিম্নবর্গের মানুষের জন্য লড়াই করেই গড়ে উঠেছে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার। সেই ভোটে ভাগ বসাতে মোদীর দলিতদের পা ধোয়ানোয় তাই চুপ থাকতে পারেননি মায়াবতী। সোমবার পর পর দু’টি টুইট করেন মায়াবতী। প্রথম টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘সঙ্গমে মোদীর শাহি স্নান কি তাঁর প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, প্রতারণা এবং অন্যান্য পাপ কি ধুতে পারবে? নোটবন্দি, জিএসটি, প্রতিহিংসার রাজনীতি, জাত-পাতের বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, একনায়কতন্ত্র এ সবের জন্য দেশবাসীর পক্ষে মোদীকে ক্ষমা করা কখনওই সম্ভব নয়।’’
আরও পড়ুন: ফের তথ্যপ্রমাণ চেয়েও মোদীর কাছে ‘শান্তির সুযোগ’ চাইলেন ইমরান
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মহাজোট নয়, কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বললেন কেজরিওয়াল
উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতি অনেকটাই কৃষি নির্ভর। রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ কৃষক ও দিনমজুর শ্রেণির। এ বছরের অন্তর্বর্তিকালীন বাজেটে কৃষকদের জন্য বছরে ৬০০০ টাকা অনুদান ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। সেই বিষয়টি নিয়েও এ দিন মোদী সরকারের সমালোচনা করেন মায়াবতী। দ্বিতীয় টুইটে বিষয়টি নিয়েই সরব হয়েছেন মায়াবতী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকের মধ্যে ফারাকটা বোঝা উচিত মোদী সরকারের। কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পে মাসে যে ৫০০ টাকা অনুদানের ঘোষণা হয়েছে, সেটা কৃষি শ্রমিকদের জন্য উপকার হতে পারে। কিন্তু কৃষকরা ফসল ফলিয়েও জমির দাম পান না। মোদী সরকার সেটা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’’
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)