আনাস সিদ্দিকি ও তনভি শেঠ। ফাইল চিত্র।
সঙ্ঘের অভিযোগের মুখে সুষমা স্বরাজের বিদেশ মন্ত্রক আজ জানাল, লখনউয়ের দম্পতিকে পাসপোর্ট দিয়ে সঠিক পদক্ষেপই করা হয়েছে। আর যে পাসপোর্ট আধিকারিক বিকাশ মিশ্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ নেতারা, তিনিই নিয়মের বাইরে গিয়েছেন বলে জানানো হল। ফলে তাঁকে লখনউ পাসপোর্ট অফিস থেকে বদলির নির্দেশ বহাল থাকছে।
তনভি শেঠ ও আনাস সিদ্দিকির পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ ও নয়া পাসপোর্টের আবেদন নিয়ে আপত্তি তোলেন লখনউয়ের পাসপোর্ট আধিকারিক বিকাশ মিশ্র। তার জেরে তাঁকে বদলি করা হয়। কিন্তু সুষমার বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ এনে এত দিন সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা টুইটারে লাগাতার নিশানা করছিলেন বিদেশমন্ত্রীকে। আজ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লখনউয়ের আধিকারিক যে নিকাহনামার অসঙ্গতি নিয়ে আপত্তি তুলছিলেন, পাসপোর্ট দেওয়ার নতুন নিয়মে তার কোনও প্রয়োজনই নেই। আর পুলিশের রিপোর্ট তখনই দরকার হয় যখন কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকে কিংবা নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে দুটির কোনওটিই নেই বলে দম্পতিকে পাসপোর্ট দেওয়া বৈধ।
বিজেপির অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সংঘাত হিসেবে দেখছেন। কিন্তু সঙ্ঘেরই অনেক নেতা জানিয়েছিলেন, তদন্তে যা সঠিক মনে হবে, তা তারা মেনে নেবে। ফলে আজ পাসপোর্ট দেওয়ার নিয়ম দেখিয়ে বিদেশ মন্ত্রক যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারপর আর সরাসরি তাঁরা কিছু বলতে পারছেন না। তবে তাঁরা দাবি করছেন, পাসপোর্ট আধিকারিক বিকাশ মিশ্রকে বলির পাঁঠা করা হল।
যদিও রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ীর পরে আজ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও প্রকাশ্যে সুষমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সামনেই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন। সেখানে নবীনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন গেরুয়া শিবিরের রোষ দেখে মোদী চুপ, তখন মোদীরই বিরুদ্ধ অবস্থান নিলেন নবীন।