নির্ভুল চিহ্নিতকরণ। নির্দিষ্ট লক্ষ্য। তার পর নির্ভুল লক্ষ্যভেদ। শত্রু ডুবোজাহাজকে নিমেষে নিকেশ করে দেওয়া। এমনই অত্যাধুনিক এক চপার এ বার দেখা যাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে।
এম এইচ ৬০ রোমিও, মার্কিন সংস্থা লখিড মার্টিন এই হেলিকপ্টার বানায়। এই চপারটিই এ বার কিনতে চলেছে ভারত। খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকার সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তিও সেরে ফেলবে ভারত।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে একটি সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর। তার পর থেকেই অস্ত্রচুক্তির বিষয়টি গতি পেয়েছে।
সূত্রের খবর, এ রকম ২৪টি হেলিকপ্টার আমেরিকার কাছ থেকে কেনার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। সব মিলিয়ে যার খরচ পড়বে প্রায় ১৪ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা।
আগামী জি২০ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখোমুখি হবেন। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ওই বৈঠকেই।
সমুদ্রে নজরদারি চালাতে এবং শত্রু জাহাজ ধ্বংস করতে এটিই পৃথিবীর সেরা হেলিকপ্টার। এটি ব্যবহার করা যাবে ডেস্ট্রয়ার, ক্রুজার এবং বিমানবাহী রণতরী থেকেও।
মার্কিন নৌসেনার কাছেও এম এইচ ৬০ রোমিও চপার রয়েছে। ভারত এমন একটা চপার কিনলে সমুদ্রে নজরদারির মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়তে থাকা উপস্থিতির উপরে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জরুরি ভিত্তিতে এই হেলিকপ্টার কেনা প্রয়োজন বলে ভারতের পক্ষে ইতিমধ্যেই একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে আমেরিকাকে।