গাড়ির সঙ্গে মোটরবাইকের ধাক্কা লাগায় ছেলেদের চোখের সামনেই বাবাকে পিটিয়ে খুন করেছিল কয়েক জন। গত রবিবার দিল্লির তুর্কম্যান গেটের এই ঘটনায় পুলিশের সমালোচনা করে কড়া চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
নিহত মহম্মদ শাহনওয়াজের বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ক’দিন আগেই দেখা করে এসেছেন বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। শাহনওয়াজের দুই ছেলে তাঁকে জানান, ঘটনার দিন রাস্তার উল্টো দিকে দু’জন পুলিশকর্মী দাঁড়িয়ে থাকলেও তাঁরা সাহায্য করেননি।
পুলিশ কমিশনার বি এস বাস্সিকে গত কাল চিঠি লিখে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘পুলিশ সে দিন নীবর দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে শুনেছি।’’ ওই দুই পুলিশকে সাসপেন্ড করার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের আর্জিও জানিয়েছেন হর্ষ বর্ধন। পুলিশ যে বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সেই বার্তা সমাজকে দেওয়া প্রয়োজন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। চোখের সামনে বাবাকে মার খেতে খেতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছিল শাহাদ ও কাইফ। প্রত্যক্ষদর্শীদের উপরে হামলা হতে পারে সেই আশঙ্কায় দুই ভাইকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিজ্ঞানমন্ত্রী।
গত রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ দুই ছেলের সঙ্গে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন মহম্মদ শাহনওয়াজ। তুর্কম্যান গেটের কাছে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁদের। এই অপরাধে তাঁকে টেনে নামিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারে পাঁচ জনের একটি দল। শাহনওয়াজের স্ত্রী’র অভিযোগ, শুধু দুর্ঘটনার জেরে এমন পরিণতি কারও হয় না। একটি অবৈধ নির্মাণে বাধা দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। বদলা নিতেই এই খুন বলে মনে করেন তিনি।
গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করে এই ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন নিহতের আত্মীয়েরা। তার দু’দিনের মধ্যেই পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে কমিশনারকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রের এক মন্ত্রী। শাহনওয়াজ হত্যায় মূল অভিযুক্তকে ধরেছে পুলিশ। যে দুই পুলিশকর্মী বিপদ দেখেও এগিয়ে যাননি বলে অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, এখন সেটাই দেখার।