খাবারের লোভ দেখিয়ে নাবালিকা ধর্ষণ এ বার মন্দিরেও!
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদা শহরের জগন্নাথ মন্দিরের ঘটনা। সেখানে শুক্রবার রাতে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় বছর এগারোর ওই মেয়েটি বর্তমানে কটকের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ব্যাপক মারধরের পর ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত গুরুচরণ বেহেরাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রাই। ধর্ষিতার পরিবার এবং ক্ষিপ্ত স্থানীয়দের অভিযোগে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়ি মন্দিরের আশপাশেই। শুক্রবার রাতে জগন্নাথ দর্শনে সে একাই এসেছিল। মন্দির চত্বরেও বিশেষ লোকজন ছিল না। আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই অভিযুক্ত ওই যুবক তাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায় মন্দিরের স্নান মণ্ডপে। তার পর সেখানেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সে পালানোর চেষ্টা করে বলে দাবি স্থানীয়দের। মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়রাই মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যান বারিপদা হাসপাতালে। পরিস্থিতির খারাপ হওয়ায় পরে তাকে রেফার করা হয় কটকে।
ধর্ষণের খবর পেয়েই পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বারিপদার সাব-কালেক্টর এস কে পুরোহিত। নাবালিকার চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা মঞ্জুরও করেছেন তিনি। তদন্ত চলছে। প্রশ্ন উঠছে মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। অভিযুক্ত যুবকটিই বা অত রাতে ওখানে কেন গিয়েছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরেই এই মন্দিরের বাইরে নিজেদের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সদস্যরা। সাব-কালেক্টর নিজে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ। ধর্ষণের ঘটনাটি ঠিক তার পরেই ঘটে বলে অনুমান পুলিশের। মেয়েটিকে বিবস্ত্র এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মন্দির থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকটিও। তার যথাযথ শাস্তি এবং ধর্ষিতার চিকিৎসা বাবদ খরচ চেয়ে শনিবার সকালে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসেই ওই ১০ হাজার টাকার সাহায্য ঘোষণা করেন বারিপদার সাব-কালেক্টর।