গাড়ির ধাক্কায় মৃত তিন, কাঠগড়ায় বিধায়কের ছেলে

বেপরোয়া ভাবে বিএমডব্লিউ চালিয়ে তিন জনকে পিষে মারার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের এক বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় সীকরের নির্দল বিধায়ক নন্দ কিশোর মেহরিয়ার ছেলে সিদ্ধার্থ মেহরিয়া। বয়স ২০ বছর। অভিযোগ অস্বীকার করে সিদ্ধার্থ বলেন, তিনি নন, দুর্ঘটনার সময় তাঁর চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০৩:১১
Share:

বেপরোয়া ভাবে বিএমডব্লিউ চালিয়ে তিন জনকে পিষে মারার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের এক বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় সীকরের নির্দল বিধায়ক নন্দ কিশোর মেহরিয়ার ছেলে সিদ্ধার্থ মেহরিয়া। বয়স ২০ বছর। অভিযোগ অস্বীকার করে সিদ্ধার্থ বলেন, তিনি নন, দুর্ঘটনার সময় তাঁর চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

Advertisement

শনিবার রাত দু’টো নাগাদ অশোক নগরের একটি স্কুলের সামনে প্রথমে একটি অটো রিক্‌শা ও পরে পুলিশ ভ্যানে ধাক্কা মারে সিদ্ধার্থের গাড়ি। ঘটনাস্থলেই ওই অটোর চালক ও দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন ভ্যানের তিন জন পুলিশও। তাঁদের এক জনের কথায়, ‘‘অন্তত ১০০ কিমি বেগে গাড়িটি আসছিল।’’ সিদ্ধার্থের যুক্তি, ‘‘রাস্তায় আলো ছিল না। জোরে বৃষ্টি পড়ছিল। অটোটিও খুব দ্রুত গতিতে রাস্তা পার হচ্ছিল। আমার গাড়ি অটোটির ডান চাকায় ধাক্কা মারে। পরে ৫০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা খায়।’’ তবে বিএমডব্লিউ গাড়িটি যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তাতে সিদ্ধার্থের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর জবাবে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘‘আমার চালক অনভিজ্ঞ। ভয়ে ব্রেক আর অ্যাক্সিলেরেটরের মধ্যে গুলিয়ে ফেলে।’’ গাড়ি চালানোর সময় সিদ্ধার্থ মদ্যপ ছিলেন কি না তা ফরেন্সিক রিপোর্ট এলে জানা যাবে। যদিও সিদ্ধার্থের দাবি, তিনি মদ্যপ ছিলেন না। মৃতদের পরিবারকে সাহায্য করবেন বলেও সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন। গাড়িতে সিদ্ধার্থের সঙ্গে আরও দু’জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। গাড়িটি কার প্রসঙ্গে বিধায়ক নন্দ কিশোর বলেন, ‘‘এটি আমাদের নিজেদের সংস্থার গাড়ি।’’

দিল্লিতে বাবার গাড়ি চালিয়ে এক ব্যক্তিকে পিষে মারায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন এক নাবালক। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের রায় অনুযায়ী, ওই নাবালকের প্রাপ্তবয়স্কের মতোই বিচার হবে। দিল্লি আদালতের কাছে আজ সে আবেদন জানিয়েছে, চার্জশিটের সঙ্গে তাকে যেন সঠিক নথিপত্র দেওয়া হয়। যে নথি তাকে দেওয়া হয়েছে, তা পড়ার যোগ্য নয়। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী অফিসারকে প্রকৃত নথি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement