National News

সংখ্যালঘু মেয়েদের জন্য মোদীর ‘গিফ্ট’: স্নাতক হয়ে বিয়ে করলে ৫১ হাজার

সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির কাছে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায় মৌলানা আজাদ ফাউন্ডেশন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিয়ের আগেই যাঁরা স্নাতক হবেন এমন মেধাবী মুসলিম ছাত্রীদের জন্য এক বিশেষ প্রকল্প আনতে চলেছে মোদী সরকার। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শাদি শগুন’। অর্থাত্ বিয়ের সময় সেই সব মেধাবী ছাত্রীদের হাতে ৫১ হাজার টাকা উপহার তুলে দেবে সরকার। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উচ্চশিক্ষায় অনুপ্রেরণা দেওয়া। যে সব ছাত্রীরা বেগম হজরত মহল স্কলারশিপ পেয়েছেন, তাঁরা এই সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: গুজরাতেও দিন ঘোষণা নয় কেন!

সংখ্যালঘুদের মধ্যে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মেধাবীদের জন্য এমন একটা প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল ২০০৩-এ অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে। কিন্তু সে সময় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হত। মৌলানা আজাদ এডুকেশন ফাউন্ডেশন-এর কোষাধ্যক্ষ শাকির আনসারি জানান, মেয়েদের উচ্চশিক্ষা দেওয়া হবে, নাকি তার আগেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে, এই ভাবনার দোলাচলে থাকে মুসলিম এবং অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিবারগুলো। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় উচ্চশিক্ষায় অর্থ খরচ না করে, সেই অর্থ বিয়ের জন্য জমাতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেধাবী ছাত্রীরা যাতে আরও বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেন, তার জন্য ‘শাদি শগুন’ নামে এই প্রকল্প আনা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নাম না করেও জয়ের পাশে সঙ্ঘ

সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির কাছে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায় মৌলানা আজাদ ফাউন্ডেশন। সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক। এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি সম্প্রদায়ের মেধাবী ছাত্রীরা। তবে যে সব ছাত্রীর বাবা-মায়ের আয় বছরে ২ লক্ষ টাকা, তাঁরা এই সুবিধা পাবেন না বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।

মোদী সরকারের এই প্রকল্প নিয়ে কিন্তু বিরোধী শিবির থেকে শ্লেষের স্বর শোনা যাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও অ-বিজেপি সরকার বিশেষ প্রকল্প বা কর্মসূচি নিলেই, তাতে তোষণের গন্ধ খোঁজে বিজেপি। এ বার বিজেপির সরকারই সংখ্যালঘু উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি নিল কেন? প্রশ্ন উঠছে নানা শিবির থেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন