ঘরের সমস্যা মেটাতে বাইরে মন সঁপে দিল মোদী সরকার!
বিহারে ভোটের ফলাফল দম বন্ধ করা পরিবেশ তৈরি করেছে। এর পর দরজা হাট করে খুলে দেওয়া ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না।
আর সেই দরজাটা খুলে দেওয়া হল প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের জন্য। প্রতিরক্ষা, রেল, ব্যাঙ্কিং, খনি, পরিকাঠামো, নির্মাণ ও ওষুধ শিল্পের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি ক্ষেত্রের দরজা মোদী সরকার আরও হাট করে দিল প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগকারীদের জন্য নিয়মকানুন সরলতর করে। বার্তা দেওয়া হল, বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী! ক্ষমতাসীন হওয়ার দেড় বছরের মধ্যেই বিহারের মতো গো-বলয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্যের নির্বাচনে গো-হারা হওয়ার পর ‘কিছু করে দেখানোর’ বড়ই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল মোদী সরকারের। সেই বিদেশি লগ্নি টানার জন্য যা খুব জরুরি সেই নিয়মকানুন এ বার সরলতর করার কথা তড়িঘড়ি ঘোষণা করা হল। অর্থ সচিব শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, ‘‘ এ দেশে ব্যবসার নিয়ম সরল করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হল।’’
যে সব ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নি টানার পথ সুগম করা হল, তার মধ্যে রয়েছে:
• প্রতিরক্ষা সহ ১৫টি ক্ষেত্রের জন্য বিদেশি লগ্নির শর্ত সহজতর করা। একই সুযোগের আওতায় নির্মাণ, আবাসন ও সম্প্রচারকে নিয়ে আসা।
• বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদ বা এফআইপিবি-র হাতে বাড়তি ক্ষমতা। এত দিন ৩ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ প্রস্তাবে সায় দিতে পারত এফআইপিবি। এ বার তা বাড়িয়ে করা হল ৫ হাজার টাকা।
• রবার, কফি, এলাচ, পাম তেল এবং অলিভের তেল নিষ্কাশনের জন্য চাষের ক্ষেত্রেও ১০০ শতাংশ বিদেশি লগ্নি।
• একক ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় ই-কমার্সের মাধ্যমে বিক্রির অনুমতি।
• আঞ্চলিক বিমান পরিষেবা সংস্থাকে সরাসরি ৪৯ শতাংশ বিদেশি লগ্নি আনার সবুজ সঙ্কেত।