এক আসনে: সংসদীয় দলের বৈঠকে সুষমা স্বরাজ, লালকৃষ্ণ আডবাণী, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
চার বছরে ‘অচ্ছে দিন’ তো আসেইনি। কৃষি থেকে শিল্প, কর্মসংস্থান— সব ক্ষেত্রেই আছড়ে পড়ছে ক্ষোভ। সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতির তকমা। বিঁধছে দলিত-কাঁটাও। এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ বিরোধী নেতৃত্ব প্রতিদিন আরও জোটবদ্ধ হচ্ছেন। এই অবস্থায় মরিয়া হয়ে আসরে নামলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ।
আজ দলের সাংসদদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে মোদী বললেন, ‘‘লোকসভায় জিতব। মানুষের মন জিততে হবে।’’ এর পরেই গ্রাম, গরিব ও দলিতদের নিয়ে আসরে নামতে সাংসদদের একগুচ্ছ কর্মসূচি ধরিয়ে দিলেন মোদী।
সুপ্রিম কোর্টে দলিত আইন লঘু করা নিয়ে রাহুল গাঁধী-সহ সম্মিলিত বিরোধী একজোট হয়ে আসরে নেমেছে। পাল্টা দিতে ১৪ এপ্রিল অম্বেডকরের জন্মদিন থেকে ৫ মে পর্যন্ত কর্মসূচি সাংসদদের হাতে তুলে দিলেন মোদী। আগামী তিন দিন ছুটি। এই অবসরে নিজের নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রচার করার নির্দেশও দিলেন সাংসদদের।
আরও পড়ুন: পিসি-ভাইপোকে হারাল বিজেপি, উত্তরপ্রদেশে
১৪ এপ্রিল ‘সামাজিক ন্যায় দিবস’, ১৮ এপ্রিল ‘স্বচ্ছ ভারত দিবস’, ২০ এপ্রিল ‘উজ্জ্বলা দিবস’, ২৪ এপ্রিল ‘পঞ্চায়েতি রাজ দিবস’, ৩০ এপ্রিল ‘স্বাস্থ্য ভারত দিবস’, ২ মে ‘কৃষক কল্যাণ দিবস’, ৫ মে ‘কৌশল দিবস’— চার বছরে যে সব ক্ষেত্রে বিজেপি ক্ষোভের মুখে পড়েছে, সেগুলিই বেছে নিলেন মোদী। তাঁর দাওয়াই, গ্রামে রাত্রিবাস করুন সাংসদরা। কাজে লাগান প্রযুক্তিকে। ১১৫টি পিছিয়ে পড়া জেলায় সেরা কাজ যে করবে, সেখানে মোদী নিজে যাবেন ১৪ এপ্রিল। অমিত শাহ দিলেন বুথ শক্ত করার দাওয়াই।