প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
প্রধানমন্ত্রীর ইশারায় রবিবার সকালে মন্ত্রিসভা রদবদলের প্রস্তুতি শুরু করেছে রাষ্ট্রপতি ভবন। তার দু’দিন আগে সবথেকে বড় প্রশ্ন, অরুণ জেটলির হাত থেকে প্রতিরক্ষা নিলে বিগ-ফোরে কাকে রাখা হবে? রদবদলে কী চমক দেবেন নরেন্দ্র মোদী?
শুক্রবার রাতে রাজনাথ সিংহের বাড়িতে বৈঠক করেন জেটলি, সুষমা স্বরাজ, নিতিন গডকড়ী। এ দিনই মথুরায় মোহন ভাগবতের সঙ্গে দু’ঘণ্টা বৈঠক করেন অমিত শাহ। কাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন অমিত। তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় যাবেন না। বিজেপির বক্তব্য, অমিত শাহ মন্ত্রিসভায় গেলে তিনিই নম্বর টু-এর মর্যাদা পাবেন। রাজনাথকে প্রতিরক্ষায় পাঠিয়ে স্বরাষ্ট্রে যেতে হবে অমিতকে। সে ক্ষেত্রে রাজনাথ অসন্তুষ্ট হবেন। আবার প্রাক্তন সভাপতি গডকড়ীও বিগ-ফোরে আসতে চান। কিন্তু মোদী তাঁকে রেল-সহ পুরো পরিবহণ দিতে চান। তাতে আগ্রহী নন নিতিন গডকড়ী।
এই অবস্থায় বিগ-ফোরের ছবিটি অনেকটাই স্পষ্ট হতে পারে কাল। দলের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা নয়, অন্য বিষয়ে রাজনাথের বাড়ির বৈঠক ছিল। শেষ পর্যন্ত কী হবে, জানেন মোদী ও অমিত শাহ। মথুরায় বিজেপি-সঙ্ঘ বৈঠকে রাজনাথ, জেটলিরও যাওয়ার কথা। তবে বিজেপি শিবিরে এখনও কৌতূহল বিগ ফোর এবং রেল মন্ত্রক নিয়ে। অনেকে পীযূষ গয়াল, প্রকাশ জাভড়েকরের মতো নেতাকেও এগিয়ে রাখছেন দৌড়ে। পীযূষ, ধর্মেন্দ্র প্রধানের পদোন্নতি হতে পারে। মনোজ সিন্হাকে রেলের ভার দেওয়া হতে পারে। সে মন্ত্রকে নজর রয়েছে নীতীশ কুমারের দলেরও। কিন্তু মোদী আগ্রহী নন। সুরেশ প্রভু পরিবেশ মন্ত্রকে যেতে পারেন। বস্ত্র মন্ত্রক ছেড়ে তথ্য-সম্প্রচারে যেতে পারেন স্মৃতি ইরানি। নতুনদের মধ্যে ওম মাথুর পেতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: নারদ ‘অপারেশন’-এর যাবতীয় খরচ তাঁরই দেওয়া
বিজেপির এক নেতা বলছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী— সবেতেই চমক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বারেও কখন, কী ভাবে ভেল্কি দেখাবেন, তিনিই জানেন।’’ তবে যে ভাবে মন্ত্রীদের ইস্তফার হিড়িক পড়েছে, তাতে স্পষ্ট রদবদল বড়। নীতীশ কুমারের দলের থেকে কম করে দু’জন মন্ত্রী হবেন। সঙ্কট মিটিয়ে মন্ত্রিসভায় সামিল হওয়ার জন্য এডিএমকে-কে দু’দিন সময় দিয়েছেন অমিত শাহ। তাতেও না মিটলে তাদের ছাড়াই রদবদল হবে। শিবসেনার থেকে একজনকে নেওয়ার কথা চলছে। শরদ পওয়ারের দল সরাসরি ‘না’ করে দিলেও এখনও তাদের অনেকের কথা ভাসছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নতুন মুখ হিসেবে উঠছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তবে অতীতে মনোনীত সাংসদ মন্ত্রী হননি। ভোটমুখী রাজ্য থেকেও আসবে নতুন মুখ।
সব মিলিয়ে ১০-১৫ জন নতুন মুখ। প্রতিবার রদবদলের আগে একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা হয়। এ বারেও সম্ভাব্য নামের তালিকায় উঠে এসেছে মধ্যপ্রদেশের প্রহ্লাদ পটেল, কর্নাটকের প্রহ্লাদ জোশী, সুরেশ আঙ্গাড়ি, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যপাল সিংহ, বিনয় সহস্রবুদ্ধে, দিল্লির মহেশ গিরি, হরিশ দ্বিবেদী, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ভুপেন্দ্র যাদবের নাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডাকে ভোটমুখী হিমাচলের মুখ করলে মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন অনুরাগ ঠাকুর।