প্রাপ্য জানতে চান মোদীর স্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে তিনি ঠিক কী ধরনের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধে পাওয়ার অধিকারী তা জানতে আর্জি জানালেন যশোদাবেন। আজ গুজরাতের মেহসানা পুলিশের কাছে তথ্যের অধিকার আইনে এই আর্জি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:২২
Share:

প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে তিনি ঠিক কী ধরনের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধে পাওয়ার অধিকারী তা জানতে আর্জি জানালেন যশোদাবেন। আজ গুজরাতের মেহসানা পুলিশের কাছে তথ্যের অধিকার আইনে এই আর্জি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক বরাবরই ক্ষীণ। ১৭ বছর বয়সে যশোদাবেনকে বিয়ে করলেও সেই সময়েই মোদী বাড়ি ছেড়ে চলে যান বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। যশোদাবেনও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সেই বিচ্ছেদের সময়ে মোদীর সঙ্গে তাঁর ভালই সম্পর্ক ছিল।

গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রথম প্রার্থী হিসেবে হলফনামা দেওয়ার সময়ে প্রথম স্ত্রী-র নাম উল্লেখ করেন মোদী। ফলে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নিয়মমাফিক যশোদাবেনকেও নিরাপত্তা দেওয়া হয়। মেহসানা জেলার উন্ঝা শহরে ভাই অশোক মোদীর সঙ্গে থাকেন প্রাক্তন স্কুলশিক্ষিকা যশোদাবেন। আজ মেহসানার পুলিশ সুপার জে আর মোথালিয়ার অফিসে এসে নিজের আর্জি পেশ করেন যশোদাবেন। আর্জিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে ঠিক কী ধরনের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধে পেতে পারেন তিনি। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার সরকারি নির্দেশের কপি-সহ বেশ কিছু নথিও চেয়েছেন যশোদাবেন।

Advertisement

আর্জিতে যশোদাবেন জানিয়েছেন, নিরাপত্তার বর্তমান ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর কিছু আপত্তি আছে। তিনি এখনও ট্রেন-বাসেই যাতায়াত করেন, অথচ তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা সরকারি গাড়ি চাপেন। মোদীর স্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রয়াত ইন্দিরা গাঁধীকে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাই খুন করেছিল। তাই কখনও কখনও রক্ষীদের নিয়েও দুশ্চিন্তায় থাকেন তিনি। যশোদাবেনের আর্জি, তাঁর রক্ষীদের কাছে সরকারি নির্দেশের কপি থাকা বাধ্যতামূলক করুক গুজরাত সরকার।

মেহসানা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপের ইনস্পেক্টর জে এস ছাবড়ার কথায়, “আমাদের ১০ জন জওয়ান যশোদাবেনকে নিরাপত্তা দেন। তাঁরা দু’দফায় কাজ করেন।

এক এক দফায় পাঁচ জন করে জওয়ান মোতায়েন করা হয়।” মেহসানার পুলিশ সুপার মোথালিয়া জানিয়েছেন, তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যশোদাবেনের আর্জির জবাব দেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement