যোজনা কমিশনের বদলে কী, জনমত চান মোদী

চার দিন আগেই লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন যোজনা কমিশন তুলে দেওয়া হচ্ছে। তার জায়গা নেবে নতুন একটি সংস্থা, যার মাধ্যমে উন্নয়নের প্রশ্নে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে। সেই সংস্থার নাম কী হবে, তার কাঠামো কী হবে তার জন্য আজ আম জনতার মতামত জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন, যাঁদের মতামত পছন্দ হবে, তাঁদের পুরস্কৃৃতও করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১৩
Share:

চার দিন আগেই লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন যোজনা কমিশন তুলে দেওয়া হচ্ছে। তার জায়গা নেবে নতুন একটি সংস্থা, যার মাধ্যমে উন্নয়নের প্রশ্নে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে। সেই সংস্থার নাম কী হবে, তার কাঠামো কী হবে তার জন্য আজ আম জনতার মতামত জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন, যাঁদের মতামত পছন্দ হবে, তাঁদের পুরস্কৃৃতও করা হবে।

Advertisement

এ সব যখন চলছে, তখন যোজনা কমিশনের ছবিটা কেমন? শুক্রবার থেকে টানা চার দিন ছুটির পর আজই খুলেছে যোজনা কমিশন। সেখানে সকাল থেকে নতুন নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সকালে যোজনা কমিশনের সচিব সিন্ধুশ্রী খুল্লার তাঁর নির্ধারিত বৈঠক করেছেন। দুপুরে একই ভাবে গ্রামের পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক হয়েছে। যোজনা কমিশনের বিভিন্ন দফতরের জন্য ট্রাক ভর্তি করে নতুন কম্পিউটারও আসছে।

যে যোজনা কমিশন উঠে যাবে, সেখানে এখনও নিয়োগ চলছে কেন? কেনই বা বৈঠক হয়ে চলেছে? যোজনা কমিশনের কর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লা থেকে ঘোষণা করেছেন ঠিকই। কিন্তু এখনও কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়নি। নতুন সংস্থা তৈরি নিয়েও কোনও ঘোষণা হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই তাই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। সেই বৈঠকের ফাঁকেও অবশ্য যোজনা কমিশনের বিদায়, নতুন সংস্থার ভবিষ্যৎ এ সব নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।

Advertisement

পিওন, আর্দালিদের মতো একেবারে নিচুতলার কর্মীদের আবার অন্য ক্ষোভ। তাঁদের বক্তব্য, লাল কেল্লা থেকে ঘোষণা না করে প্রধানমন্ত্রী আগে দফতরে জানাতে পারতেন। তা হলে তাঁরা আগেভাগে বাড়ির লোকদের জানিয়ে রাখতে পারতেন। সরকারি কর্মচারী বলে কারওরই চাকরি যাবে না ঠিকই, কিন্তু কমিশনটাই উঠে যাচ্ছে বলে সকলে জেনে যাওয়ায় আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শিদের অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

আজ প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হল এমন একটি নতুন সংস্থা, যা একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা পূরণ করবে। একই সঙ্গে রাজ্যগুলির অংশগ্রহণও মজবুত হবে।’ নানা বিষয়ে মানুষের মতামত জানার জন্য আগেই http://www.mygov.in নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করেছিলেন মোদী। আজ সেখানে নতুন একটি ফোরাম তৈরি হয়েছে। যেখানে নতুন সংস্থার কাঠামো এবং নাম কী হতে পারে, তা নিয়ে সকলের মতমত চেয়েছেন মোদী। নতুন সংস্থার লোগো ও ট্যাগলাইন কেমন হতে পারে, তা-ও জানতে চেয়েছেন। মোদীর ঘোষণা, বিজেতাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েবসাইটে নানা নাম আসতে শুরু করেছে। কারও পরামর্শ, সংস্থার নাম হোক রাষ্ট্রীয় বিকাশ সেবা কমিশন, কেউ আবার সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ এক্সেলেন্স-এর সুপারিশ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন