প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল গত ১০ মে তাঁর বেলুড় মঠ দর্শনের সময়েই। বেলু়ড় মঠের সন্ন্যাসীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশ সফরের সময়ে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে যেতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তখনই রাজি হয়ে যান মোদী।
সেই পরিকল্পনা মতোই আগামী ৭ জুন ঢাকার মতিঝিল এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় মিশনের গেটে তাঁকে বরণ করে নিতে উপস্থিত থাকবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ। সঙ্গে থাকবেন ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে জনসংযোগের ভারপ্রাপ্ত স্বামী শুভকরানন্দ। ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে এখন তাই সাজ সাজ রব। স্বামী বিবেকানন্দের বিশাল কাটআউট ও তাঁর বাণীতে সাজানো তোরণ বসছে মিশনের মূল ফটকে। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, প্রথমে গর্ভমন্দিরে অর্ঘ্য দেবেন মোদী। তার পরে বেলুড় মঠের মতোই এখানেও কিছুক্ষণ ধ্যানে বসার কথা তাঁর। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি দেখা করবেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। মোদীর মাতৃভাষা গুজরাতিতে লেখা স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী উপহার দেওয়া হবে তাঁকে। সঙ্গে থাকবে শ্রীরামকৃষ্ণের প্রসাদী ধুতি, উত্তরীয় এবং প্রসাদ। ওই দিনই ঢাকেশ্বরী মন্দির দর্শনেও যাওয়ার কথা মোদীর।
তবে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সম্ভবত থাকতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিশনকে তিনি জানিয়েছেন, স্বল্প সময়ের সফরের কারণে এ বার হয়তো তাঁর যাওয়া হয়ে উঠবে না। এ বার না হলে পরে নিশ্চয়ই যাবেন। তবে মিশনের অধ্যক্ষের জন্য রেশমের উত্তরীয় উপহার ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছেন মমতা। আর শেখ হাসিনাও তাঁকে থেকে যেতে অনুরোধ করছেন। ১৮৯৯ সালে ঢাকায় তৈরি হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশনের এই শাখা। যশোহর, বরিশাল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, শ্রীহট্ট, চট্টগ্রাম-সহ বাংলাদেশে মোট ১৪টি জায়গায় শাখা রয়েছে মিশনের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে যিনিই থাকুন, প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময়ে এক বার রামকৃষ্ণ মিশনে আসেন।