—ছবি এএফপি।
হিন্দুদের একজোট করার কথা বলছেন মোহন ভাগবত। কিন্তু যে মঞ্চ থেকে বলছেন, সেখানেই নানা সাধুর নানা মত!
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে সন্তদের ধর্ম সংসদ আজ থেকে শুরু হল কুম্ভে। লক্ষ্য, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে একজোট হয়ে কৌশল রচনা করা। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও পৌঁছে গিয়েছেন সে মঞ্চে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও পৌঁছে যান প্রয়াগরাজে। মঞ্চে থাকলেন যোগগুরু রামদেবও। আর নাম না করে ঘুরপথে রাহুল গাঁধী এবং ‘টুকরে টুকরে’ গোষ্ঠীকে হিন্দুদের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর ষড়যন্ত্রকারী বললেন সরসঙ্ঘচালক। সুপ্রিম কোর্টও হিন্দুদের আবেগ গুরুত্ব দেয়নি বলে সমালোচনা করলেন। কিন্তু সাধুরাই তো দ্বিধাবিভক্ত।
অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ এই ধর্ম সংসদ বয়কট করেছে। নির্মোহী আখড়া আগেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমালোচনা করেছে। আর আজকের ধর্ম সংসদ শুরুর আগে গতকালই সমান্তরাল ধর্ম-সংসদ করেছেন সাধুরা। সেখানে দুই মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী ঘোষণা করে দেন, ২১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় শিলান্যাস করতে যাবেন। প্রয়াগ থেকেই শুরু হবে যাত্রা। সেখানে আবার দেখা গিয়েছে গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক নেতাকেও। সব দেখে দিল্লিতে কংগ্রেসও বলছে, যে সঙ্ঘ পরিবার হিন্দুদের ‘ঠেকাদার’ মনে করে, তারাই নিজেদের একজোট রাখতে পারছে না। ফলে ভোটের আগে সব হিন্দুকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা তো গোড়াতেই ব্যর্থ!
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিজেপি আজ সন্ধ্যায় আর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেখানে আবার খুঁচিয়ে তোলে কুম্ভে যোগীদের স্নান নিয়ে কংগ্রেস নেতা শশী তারুরের মন্তব্যকে। রাহুল গাঁধী গতকালই ভাগবতকে ‘ঠুনকো মধ্যমেধা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। আরএসএসের থেকে কংগ্রেস কোথায় আলাদা, তা দেখিয়ে কংগ্রেসে মহিলাদের আরও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। আজ ভাগবত নাম না করে বলেন, সমাজ অজ্ঞানী। মহিলা-পুরুষের ভেদের কথা বলা হচ্ছে। হিন্দু সমাজকে বিভাজনের চেষ্টা স্বাধীনতার আগে থেকে হচ্ছে। একবার হিন্দু সমাজ একজোট হলে তাদের কেউ রুখতে পারবে না।