বিদেশে পালালে বাজেয়াপ্ত হবে সম্পত্তি, বিল আনবে কেন্দ্র

বিরোধীরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসায় মুখরক্ষা করতেই অধ্যাদেশটি আনতে বাধ্য হয়েছে সরকার। যে ভাবে একের পর এক ঋণখেলাপি বিদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাতে সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:২১
Share:

নজরে লোকসভা নির্বাচন। তাই ললিত মোদী থেকে বিজয় মাল্য। বা হাল আমলের নীরব মোদীরা বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার পরে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। বিদেশে ফেরার আর্থিক অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে গত মার্চ মাসে ‘ফেরার আর্থিক অপরাধী বিল’ বা ‘ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার্স বিল’ পেশ করেছিল সরকার। কিন্তু সংসদ না চলায় তা পাশ করানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু সরকার যে পাওনা টাকা উদ্ধারে আন্তরিক, তা বোঝাতে আজ অধ্যাদেশ আনল কেন্দ্র। বাদল অধিবেশনে ওই বিলটি পাশ করানোর ফের চেষ্টা করবে মোদী সরকার।

Advertisement

বিরোধীরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসায় মুখরক্ষা করতেই অধ্যাদেশটি আনতে বাধ্য হয়েছে সরকার। যে ভাবে একের পর এক ঋণখেলাপি বিদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাতে সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিজেপি বুঝতে পারছে ভোট প্রচারে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। আর তাই তড়িঘড়ি অধ্যাদেশ আনার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। যাতে প্রচারের সময় অন্তত বলা সম্ভব হয় যে, আগের সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনও আইন ছিল না। ফলে বিজয় মাল্য বা নীরবদের ফিরিয়ে আনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মোদী সরকারের আমলে এ নিয়ে অন্তত নির্দিষ্ট আইন তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

এই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্তেরা বিদেশে পালিয়ে গেলে তাদের যাবতীয় সম্পত্তি অধিকার করা হবে। এমনকি, বিদেশে থাকা সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে বিলে। সরকারের বক্তব্য এই আইনের ফলে পাওনা টাকার অধিকাংশই ফেরত পাওয়া সম্ভব হবে। যার ফলে চাপ বাড়বে ফেরার ব্যক্তির উপরেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement